কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে পর্যটক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম আশিক ওরফে টনের্ডো আশিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার এড়াতে সে তার ভ্রু, দাঁড়ি ও গোঁফ কেটে ফেলে ক্লিন সেভেড হয়েছে। তার দাড়ি গোঁফওয়ালা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়া সে গ্রেপ্তার এড়াতে এই কাজ করে বলে জানান র্যাব।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় আরো আগে। গত রাতেই তার গ্রেপ্তারের খবর জানাজানি হয়।
গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে চারজন এজাহারনামীয় আসামি ও আরও দুই-তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিষয়টি ব্যাপকভাবে স্থানীয় পর্যায়ে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে জানাজানি হলে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় আশিক। পরবর্তীতে সে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুইদিন পর কক্সবাজার থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে তাকে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার হয়।
আশিকের বরাতে র্যাব মুখপাত্র বলেন, আশিক ও তার সহযোগীরা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ভিকটিম ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অতঃপর লাবনী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে ভিকটিমকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার আশিকুল ইসলাম ভিকটিমকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে ভিকটিমের স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
ইতোমধ্যে পুলিশ কক্সবাজার থেকে আশিকের আরো চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্সম হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন