সোমবার (২৭ ডেসেম্বর) শরণখোলা একদিনে ২৬০০ শিক্ষার্থীর করোনা টিকা দিতে এসে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটের কারনে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এমনকি শিক্ষার্থীদের ভিড়ে হাসপাতালের সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করাও সম্ভম হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ফাইজার কম্পানির টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ফাইজার টিকা দিতে হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ প্রয়োজন। কিন্তু হাসপাতালে একটি মাত্র শীতাতপ কক্ষ রয়েছে। তাছাড়া, জনবল সংকটও রয়েছে। যার ফলে, প্রথম দিকে দিনে পাঁচ শত থেকে ছয় শত জন করে টিকা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সরকারি ছুটি এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কয়েকদিন টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। যে কারণে একদিনে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
টিাক কার্যক্রমে নিয়োজিত হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী মো. আসলাম হোসেন জানান, একসাথে এতো শিক্ষার্থীর চাপ সামলাতে টিকা দেওয়া যাচ্ছে না। ধাক্কা ধাক্কিতে কিছু সময় টিকা কক্ষ বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। একদিনে ২৬০০ জনকে টিকা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। তারপরও চেষ্টা করছেন তারা।
হাপসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এস এম ফয়াসল আহমেদ বলেন, টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের চাপে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এক সাথে এতো মানুষের চাপ সামলানোর মতো জনবল নেই আমাদের।
শরণখোলা উপজেলা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জনবল সংকট, শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটি এবং রোববার সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা সবাই একদিনে এসে উপস্থিত হয়। যার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাত পর্যন্ত যতোটা সম্ভম টিকা দেওয়া হবে। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই টিকা কার্যক্রম। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন