মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তৈমুর আলমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আইভির

নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা নির্বাচন আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে। গতকাল সোমবার আইভীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি আদিনাথ বসু রিটার্নিং অফিসারের কাছে ওই অভিযোগ দেন। অভিযোগে তৈমূরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা, বিভিন্ন খেয়াঘাটে হ্যান্ড মাইকিং ব্যবহার, বিভিন্নস্থানে সভা করছে। এগুলো কার্যত আচরণ বিধি লঙ্ঘনের শামিল।
সমাবেশে তিনি তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। এর আগে আইভীর বিরুদ্ধে তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে সরকারি দল কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন।
এতে তিনি সরকারি দলের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মৃণাল কান্তি দাস, মির্জা আজমের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও আনেন। গত রোববার দুপুরে জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে তৈমুরের পক্ষে অভিযোগ জমা দেন অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ। এতে তৈমূর উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২১ চলমান অবস্থায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত বিজয় সমাবেশের নামে সরকার দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মৃণাল কান্তি দাস, মীর্জা আজম সরকার দলীয় মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তৃতার মাধ্যমে সরাসরি মেয়র পদে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচনী জনসভা করে নির্বাচনী আচরণ বিধির সরাসরি লঙ্ঘন করেছেন যা নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধক। নির্বাচন কমিশনের প্রতিশ্রæতি মোতাবেক আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো যা কার্যকর করা আপনার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। এর আগে গত শুক্রবার শেখ রাসেল পার্কে বিজয় সমাবেশ হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সকলের কণ্ঠে ছিল আসছে নির্বাচনী ইস্যু। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মিছিলগুলো থেকেও আইভীর পক্ষে সেøাগান উঠে। ফলে বিজয় সমাবেশ পরিণত হয় আইভীর নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে।
সেদিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর জন্য ভোট চেয়েছেন সরকার দলীয় তিনজন এমপি। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মুন্সীগঞ্জের এমপি মৃণাল কান্তি দাস ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন