গত ১৫ বছরে যশোর জেলায় ১৩৫জনের শরীরে এইচআইভি এইডস্ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন ১০জন। নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন ৮৯জন। বাকী ৩৬জনের সন্ধান নেই স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে। ফলে তারা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই মানুষের মাঝে আছেন। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কনফারেন্স রুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউস আয়োজিত এইচআইভি এইডস্ বিষয়ক সচেতনতা সভায় এ তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন।
যশোর জেলার ঝুকিপূর্ণ পুরুষ ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধমূলক সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঝুকিঁ হ্রাসকরণের লক্ষ্যে লাইট হাউসের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেনীর স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত বলেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বৈষম্য নিরসনে সরকার কাজ করছে। কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হিজড়াদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সমাজের মূল¯্রােতধারায় যুক্ত হয়ে কাজ করছে তারা। সম্প্রতি ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর দুজন সদস্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এটা ইতিবাচক যে মানুষ তাদেরকে সমান মর্যাদা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এইচআইভি এইডস্ সংক্রমণরোধে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো কাজ করছে। এই কাজের ক্ষেত্রে কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে, পাশে থাকা আশ্বাস দেন তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সবাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনূর সামাদ। বক্তব্য রাখেন যশোর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন রাজ, অ্যাডভোকেট সোনিয়া শারমিন, এনজিও প্রতিনিধি রুবাইদুল হক জোয়ার্দ্দার, যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম প্রমুখ। সভায় লাইট হাউসের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন লাইট হাউসের সাব ডিআইসি ইনচার্জ মিলন মন্ডল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন