সীতাকুন্ডে এস.কে এম জুট মিলস এলাকার অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে ফের এক্সপ্রেস ট্রেন ও লরির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা ঢাকা-চট্ট্রগ্রাম রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। ভোরে নতুন ইঞ্জিন সংযোজনের পর পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মঙ্গলবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস সীতাকু- উপজেলার বাড়বকু-ের এসকেএম জুটমিল সংলগ্ন অবৈধ রেলক্রসিং অতিক্রম করছিল। এসময় লাইনের উপরে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা দিলে লরিটির পেছনের অংশে দুমড়ে-মুছড়ে দুই খন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়।তবে লরিতে কোনো মালামাল ছিল না।ঘটনার সময় চালক আগেই লাফিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তূর্ণা নিশীথার পর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া উদয়ন এক্সপ্রেস আটকা পড়ে কুমিরা এলাকায়। এছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী মুখি কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে সীতাকু- স্টেশনে। এরপর ঘটনাস্থলে রিলিফ ট্রেন নিয়ে যান লোকোমাস্টার মুজিবুর রহমান ভূইয়া। তিনি বলেন রিলিফ ট্রেন নিয়ে নতুন ইঞ্জিন লাগানোর পর ভোর ৪টার দিকে তূর্ণা নিশীথা পুনরায় গন্তব্যের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। সীতাকু- স্টেশন মাস্টার মোতাহার সিদ্দিকী ও সোহাগ বলেন, ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টা করে ভোর রাতে আপ লাইন চালু করলে একলাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তখন এক লাইনে ট্রেন চলার কারণে অনেক ষ্টেশানে বিভিন্ন ট্রেন দাড়িয়ে পড়ে। তবে সকাল থেকে উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করছে। চট্টগ্রাম জিআরপি থানার ইনচার্জ মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও সকাল থেকে সব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের এটিও মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, দূর্ঘটনাটি কেন হল তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে সূত্রে জানা যায়, একই স্থানে আগেও বিভিন্ন সময়ে এই অবৈধ রেলক্রসিংয়ে অন্তত ৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ।তখন মাত্র কিছুদিন এই ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হলেও পুনরায় ভারি যানবাহ আবার চলাচল শুরু হয়েছে। আর এ স্থানে কোন গেটম্যান নিয়োগ করা হয়নি। তাই একটির পর একটি দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে এবং এটি দিনদিন মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন