নিয়ন্ত্রনহীন উন্মাদনা ও উশৃঙ্খলতার মধ্যে বরিশাল মহানগরীসহ সন্নিহিত এলাকায় ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সাথে সীমাহীন বিরক্তিও ছিল। অথচ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘরের বাইরে এবারো থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের কোন অনুমতি ছিলো না। কিন্তু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা তৎপর দেখা যায়নি। এমনকি অনেক এলাকার সচেতন মানুষ নগরীর বিভিন্ন থানায় ফোন করে এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে বিষয়ে অভিযোগ জানালেও মধ্যরাতের পরে নগরীজুড়ে আতশবাজী আর পটকার সাথে মাইকের বিকট শব্দের গানবাজনা অব্যাহত ছিল। এমনকি নগরীর নবগ্রাম রোড-চৌমহনী মার্কাজ মসজিদের পাশেও একইভাবে মাইকে গান-বাজনার মাধ্যমে ইংরেজী বর্ষবরণের নামে উন্মাদনা অব্যাহত ছিল।
গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর বেশিরভাগ এলাকায়ই আলোকসজ্জার সাথে রাস্তার মোড়ে মোড়ে মাইক বাজিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন শুরু হয়। কিশোর গ্যাংয়ের সাথে অনেক এলাকায় শিক্ষিত যুবকরাও এ অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হয়। রাত বাড়ার সাথে গানের আওয়াজের সাথে রাস্তার মোড়ে মোড়ে আয়োজকদের হৈ হুল্লোড়সহ নৃত্যও অব্যাহত ছিল। রাত ১২টা বাজার সাথে বিকট আওয়াজে পটকা ও বাজির শব্দে মহানগরী প্রকম্পিত হতে থাকে। আতশবাজির আলোতে নগরী রঙিন আলোয় আলোকিত হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের পরিবর্তে বিরক্তিই ছিল বেশি। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো হলেও অনেক এলাকায়ই গান বাজনা অব্যাহত ছিল প্রায় দেড়টা পর্যন্ত।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল শনিবার বরিশাল মহানগর পুলিশের ডিসি দক্ষিণের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, কিছু সমস্যা রয়েছে ঠিকই। আমরা সুধী সমাজের সাথে আলাপ করে সার্বিক সমস্যা চিহ্নিত করে নগরীকে অপরাধমুক্ত করার লক্ষ্যে আরো তৎপর হব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন