বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও আলেমে দ্বীন আল্লামা ওবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে পীর মাশায়েখ ও আলেম ওলামাদের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য। আলেম ওলামারা রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন বাধা সৃষ্টি করছে না। কিন্তু ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য কোরআন হাদিস, মসজিদ মাদরাসা ও ইসলামী লেবাস পোষাকের ব্যাপারে কোনো ধরণের বাধা আসলে কোনো আপোষ করা যাবেনা। দেশের যে কোনো বাহিনী, ব্যক্তি এ ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করে বাংলাদেশ থেকে ইসলাম মুছে দিতে পারবেন মনে করলে, তারা তা ভুল করবেন। গত শনিবার রাতে কক্সবাজার ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের মাহফিলে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি ।
আল্লামা নদভী বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তুরস্কে শত বছর নির্যাতন নিষ্পেষণেও সেখানকার মুসলমানদের ইসলামী কৃষ্টি সংস্কৃতি থেকে সরানো যায়নি। সরকার পরিচালনায় যারা আছেন তাদের প্রতি সম্মান রেখে তিনি বলেন, আপনারা দেশ পরিচালনা করেন এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে ইসলামি কৃষ্টি সংস্কৃতি ও মসজিদ-মাদরাসা, পর্দা-হেজাব ও দাড়ি-টুপি নিয়ে টানাটানি করে নিজেদের বিপদ ডেকে আনবেন না।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দারুল মায়ারিফ আল ইসলামিয়ার সহকারী পরিচালক আল্লামা ফুরকান উল্লাহ খলিল। মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, পটিয়া আল জামিয়া ইসলামিয়ার শাইখুল হাদিস আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকার উপ-পরিচালক ড. মোস্তাক আহমদ, আল্লামা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী। বিশেষ আলোচক ছিলেন, ঢাকা রামপুরার আল্লামা ইয়াহিয়া মাহমুদ, বিশেষ বক্তা ছিলেন, ঢাকার আল্লামা হাসান জামিল, তেজগাঁও জামেয়া রেলওয়ে স্টেশনের পরিচালক আল্লামা মুজিবুর রহমান ও আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার নায়েবে মুদীর আল্লামা ওবাইদুল্লাহ হামজা।
আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারী বলেন, থার্টিফার্স্টের নামে যে বেহায়াপনা ৩১ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারসহ দেশে হয়েছে, তাতে মাদরাসার কোনো শিক্ষার্থী বা আলেম ওলামা অংশ নেয়নি। বিজাতীয় এই সংস্কৃতির আমদানী করেছে আধুনিক শিক্ষিত নামের কিছু জ্ঞানপাপীরা। দেশের স্কুল-কলেজ গুলোতে কোরআন হাদিসের শিক্ষা দেয়া হয়না বলে এই নির্লজ্জ কাজে তারা জড়িয়ে পড়ে। কোন মুসলমানের সন্তানকে এই নির্লজ্জ কাজে অংশ নেয়া হারাম। আল্লামা আব্দুল বাসেত খান বলেন, কোরআন এবং সুন্নাহকে বাদ দিয়ে মুসলিম জাতির কোনো উন্নতি ও অগ্রগতি নেই। এক সময় মুসলিম জাতি বিশ্ব শাসন করেছিল, কোরআন হাদিস আকঁড়ে ধরার কারণে। আর এখন নিগৃহীত হচ্ছে কোরআন হাদিস থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন