বহুল আলোচিত বরিশালের সদর ইউএনও’র বাসভবনে গত ১৮ আগস্ট রাতে হামলা ও আনসার বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্তদের অব্যাহতি দেবার আবেদনসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। তদন্তকালে কোন স্বাক্ষী না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রদিবেদন দেয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন। তবে এখনও আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করলেও আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাটির ধার্য্য তারিখে পুলিশি প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালত আদেশ প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।
গত ১৮ আগস্ট রাতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার নামে বিসিসি’র কর্মীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে টানানো ব্যানার অপসারণ করতে যায়। এসময় কর্তব্যরত আনসার বাহিনী তাদেরকে বাঁধা দেয়। পরে এই নিয়ে তৎকালীন ইউএনও মুনিবুর রহমানের সাথে বিসিসির কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথা কাটাকাটি হয়। একই সময়ে সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ-যুবলীগের মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ ইউএনও’র সাথে বিবাদে, এমনকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা দলবদ্ধভাবে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়লে পরিস্থিতি সামাল দিতে আনসার সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। এতে স্বপন দাসসহ চারজন আহত হন।
এ ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমন কোতোয়ালি থানায় বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদেক আবদুল্লাহসহ ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তৎকালীন ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে ঘটনার আগেই এই দুজন কর্মকর্তার বদলির আদেশ হয়েছিল। ঘটনার মাস কয়েক পরে দুজনেই বরিশাল ত্যাগ করেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ইচ্ছায় ঘটনার ৫ দিনের মাথায় স্থানীয় প্রশাসন ও মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন