শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওমিক্রনে লকডাউন নয়, চালু থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

করোনারোধী টিকা নেননি এমন ব্যক্তিরা রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারবেন না।’ গতকাল আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঠেকাতে দেশে এখনই লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে না সরকার। বরং এ ভাইরাস প্রতিরোধের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও চালু থাকবে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ওমিক্রন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিস্তারিত জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শুরু হওয়া এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বর্তমান অবস্থায় দেশের হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ বা খোলা রাখার সময়সীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়ে নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেই। তবে যারা করোনারোধী টিকা নেননি তারা রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারবেন না।’
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমকে জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং বাড়ানোর কথা আলোচনায় এসেছে। পাশাপাশি যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদের পুলিশ পাহারায় কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার বিষয়টি এসেছে। উদ্দেশ্য, দেশে আগতদের কেউ যেন নজরদারির বাইরে গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে না পারেন।
‘গণপরিবহনে সক্ষমতার কম যাত্রী পরিবহন কার্যকর করার বিষয়টিও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সব ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা নিয়েও কথা হয়েছে। মাস্ক না পরলে জরিমানার বিষয়টিও উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা টিকা লিখেছেন তারা স্বাভাবিক ভাবে মাস্ক পরে রেস্টুরেন্টে যেতে পারবেন। যারা টিকা নেননি তারা পারবেন না। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে টিকার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোনো রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
লকডাউন দেয়ার বিষয়ে বৈঠকে কোনো কথাবার্তা হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘না, লকডাউনের সুপারিশ আমরা এখনো করিনি। লকডাউনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি। আমাদের যাতে লকডাউনের পর্যায়ে যেতে না হয়, সেজন্যই এ প্রস্তুতি সভা। আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো আমরা নিই, তারপর দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে গৃহীত নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জ্ঞাপন জারি করা হবে।’
বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন এবং তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন