খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় পরকীয়ার জেরে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী। গত সোমবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন- স্ত্রী পিংকি আক্তার ও তার ৪ মাসের শিশু কন্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি উপজেলার ২ নং পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খুনি মোহাম্মদ সোলেমান পলাতক রয়েছে। ঘাতক স্বামী মোহাম্মদ সোলেমান পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী। সে পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার মোহাম্মদ জাহের মিয়ার ছেলে। নিহত পিংকি আক্তার একই এলাকার আব্দুল খালেক দুলালের মেয়ে। এই দম্পতির দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের ভাই ইমরান হোসেন সুজন জানান, তার ঘাতক ভগ্নিপতি পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে বোনের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার হত্যাকারী তার বড় মেয়ে সুলতানা কে এক আত্মীয়ের বাড়ি নোয়াখালীতে রেখে আসে এবং গত শুক্রবার কোন এক সময়ে আমার বোন ও তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। কয়েকদিন বোনের খবর না পেয়ে তাদের বাড়িতে আসি। তখন ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়দের খবর দেয়া হয়। তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করলে বোন এবং ভাগ্নির গলাকাটা লাশ কম্বলে পেচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি।
নিহতের ফুফু বিবি কুলছুম জানান, ঘাতক সোলেমান নোয়াখালীতে তার এক মামাত বোনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। অভাবের সংসারে পরকিয়া নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় মতবিরোধ লেগে থাকতো, এর জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামন জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাÐ ঘটে থাকতে পারে, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পিতা বাদী হয়ে রামগড় থানায় মামলা করেছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।