বরগুনার আমতলী সেকান্দারখালী গ্রামের নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর মুন্সীকে গ্রেফতার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। আমতলী থানা সূত্রে জানা যায়, নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর মুন্সী ঘটনার পর থেকে প্রায় ৪ মাস পর্যন্ত পলাতক ছিল। মামলার বাদী আলীমের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় ঢাকার হাজারীবাগ থানার মধুবাজার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) রনজিৎ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সেকান্দারখালী গ্রামের আলমগীর মুন্সি ওরফে আলানুরের মা আলেয়া বেগম চাচাতো ভাসুরের ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে ২০২০ সালে ১০ কেজি চাল ধার নেয়। ওই চাল গত এক বছর ধরে পরিশোধ করেনি আলেয়া বেগম। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি আলেয়া বেগমের পুত্র আলানুর, জামাতা খলিল সিকদার, মেয়ে খালেদা ও আসমাকে ডেকে এনে নাতি সাগর নূরুল ইসলামকে ছুরি মেরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।
নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগম বলেন, চাচি আলেয়া বেগম গত বছর আমার কাছ থেকে ১০ কেজি চাল ধার নেয়। ওই চাল এক বছরেও পরিশোধ করেনি। আমি চাচির কাছে ওই ধার নেওয়া চাল ফেরৎ চাইলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা আমার স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ধারের দশ কেজি চাল ফেরৎ চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নুরুল ইসলাম খুন হন। ওই দিন রাতেই নিহতের ছেলে আলীম বাদী হয়ে মূল ঘাতক সাগর মুন্সীসহ ৭ জনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনার জড়িত আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া বেগম, বোন খালেদা ও আসমাকে গ্রেফতার করেছিল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আলানুর মুন্সী ছাড়া আলেয়া বেগম, বোন খালেদা ও আসমা জামিনে রয়েছেন। আর প্রধান আসামি সাগর মুন্সী এতোদিন পলাতক ছিল।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাগর মুন্সীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে আমতলী থানায় আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন