বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসস্ট্যান্ডের নীলখোলা এলাকার জাতীয় মহাসড়কের পাশের একটি মার্কেটের ৯টি দোকানে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। ট্রাকযোগে ১৮-২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল এসে পাহারাদারের হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে রেখে মার্কেটের দোকানগুলোতে লুটপাট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী পাহারাদার আহাম্মেদ বেপারী সাংবাদিকদের জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে বরিশাল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের মাদারীপুরের দিক থেকে একটি বড় ট্রাক তাদের মার্কেটের সামনে এসে থামে। এ সময় তিনি মার্কেটের সামনে একটি কাঠের চৌকির ওপর বসেছিলেন। তখন ট্রাকটির চালক ও হেলপার ট্রাক থেকে নেমে এসে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে জাপটে ধরে মুখের মধ্যে গামছা গুজে দিয়ে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। একই সময় ট্রাক থেকে নামে আরো ১৭-১৮ জন ডাকাত। তারা মার্কেটের ৯টি দোকানের গেট, শার্টার ও তালা ভেঙে দোকানগুলো থেকে নগদ টাকা, প্রায় ৫০ হাজার টাকার অটোর ব্যাটারি, সিসি ক্যামেরার নানা উপকরণ ও একটি কম্পিউটারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পাহারাদার আহাম্মেদ আরো জানায়, ডাকাত চলে যাওয়ার পর তিনি হামাগুড়ি দিয়ে ঘসাঘসি করে তার চোখ মুখের বাঁধন খোলার চেষ্টা করেন। এতে চোখ ও মুখের বাঁধন একটু হালকা হয়। রাত সোয়া ৪টার দিকে ওই সড়ক ধরে নিজের মাহিন্দ্রা নিয়ে যাত্রী সংগ্রহে বের হন ঘটনাস্থলের উত্তর পাশের সুন্দরদী গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহাগ ঘরামী। তাকে দেখে তিনি চিৎকার করে উঠলে মাহিন্দ্রা চালক সোহাগ ঘরামী এসে তার হাত-পা ও চোখ-মুখের বাঁধন খুলে দেন।
ডাকাতির এ ঘটনাকে ডাকাতি নয় চুরি বলে দাবি করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চোরেরা দোকানগুলোর তালা ভাঙলেও একটি কম্পিউটার ছাড়া তেমন কিছু নিতে পারেনি। দোকানগুলোতে তেমন কোন দামি মালামালও ছিলো না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন