যৌবন ধরে রাখতে ত্বকের সৌন্দর্য অপরিহার্য। মানুষের এ সৌন্দর্যকে বাধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে কিছু ত্বক সমস্যা- যেমন, মুখের ত্বকে মেছতা, তিলা, মেয়েদের দাড়ি-গোঁফ, অবাঞ্ছিত লোম, বয়সের চিহ্ন ও বলিরেখা, দেহে আঁচিল, জন্মদাগ, মুখে, বুকে ও পিঠে ব্রণ এবং মেয়েদের তলপেটে স্ট্রেচমার্ক, গর্ভগাগ ইত্যাদি।
উল্লেখিত ত্বক সমস্যাগুলো নিয়ে বর্তমানে ভাবনার খুব প্রয়োজন নেই। কারণ আধুনিক বৈজ্ঞানিক কয়েকটি কসমেটিক সার্জারি এখন হাতের নাগালে। আমাদের দেশেই যা এখন খুব সহজেই করা যায়। যাতে কোন পার্শ্বক্রিয়া নেই বললেই চলে।
সার্জারিগুলো নিম্নরূপ:
(১) লেজার : এটি বর্তমান বিশ্বে বহুল প্রচলিত একটি কসমেটিক সার্জারি। ত্বকের মেছতা, তিলা আঁচিল, জন্মদাগ এবং অবাঞ্ছিত লোম স্থায়ীভাবে অপসারণে এটি অনবদ্য।
(২) রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েবস : এটি দেহের মেদ কমিয়ে ও ত্বক টান-টান করে বডি-শেপিং করে দেহকে আকর্ষণীয় করে তোলে। এতে বুড়িয়ে যাওয়া শরীরেও যৌবন ফিরে আসে। এতে ত্বকের বলিরেখা নির্মূল হয়ে যায়।
(৩) রেডিও সার্জারি : এটি এক অত্যাধুনিক সার্জারি, যেটি ত্বকের ব্রণ মাত্র ০১ (এক) সেশন চিকিৎসায় নির্মূল করতে সক্ষম। তা-ছাড়া দেহের আঁচিল অপসারণেও এটি এক যুগান্তকারী সাফল্য এনেছে।
(৪) কেমিক্যাল পিলিং : এটি মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে পারে। তাছাড়া মেছতা, তিলা, বয়সের চিহ্ন ও বলিরেখা নির্মূল করতে সক্ষম।
(৫) মাইক্রোডারমাবরেসন : এটি এক ধরনের কসমেটিক সার্জারি, যেটি ত্বকের রুক্ষতা, দাগ, বয়সের চিহ্ন ও বলিরেখা নির্মূল করতে সক্ষম।
(৬) মিনি-পাঞ্চ গ্রাফটিং : এটি ত্বকের সাদা দাগ ও শ্বেতী রোগ স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে সক্ষম।
(৭) পাঞ্চ-এক্সিসন : এটি সুক্ষ্ম প্রক্রিয়ায় ত্বকের ছোট-বড় গর্তসমূহ নির্মূল করতে সক্ষম।
তবে মনে রাখবেন উল্লেখিত কসমেটিক সার্জারিগুলো একজন অভিজ্ঞ ত্বক বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন-এর মাধ্যমেই সঠিকভাবে করা সম্ভব।
ডা. এ কে এম মাহমুদুল হক খায়ের
ত্বক, যৌন, সেক্স ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন।
সিনিয়র কনসালটেন্ট (এক্স),
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন : ০১৯১৫৬৯২৮৯৬।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন