চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় কনে কনে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পরই পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। ভোর সকাল, বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামের মানুষ খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়। তীব্র শীতে অভাবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। দোভাষী বাজারের একাধিক কাপড় ব্যবসায়ী জানান, শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েকদিন গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। রাজানগর গ্রামের রতন দাশ জানান, বিকাল থেকে ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় পুরো এলাকা ছেঁয়ে যায়। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গ্রামের মানুষ দল বেঁধে আগুন জ্বালিয়ে শরীর উত্তাপ নিচ্ছে।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় গড়ে উঠা শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে কাপড়ের দোকানে বেচাবিক্রি বেড়েছে। চন্দ্রঘোনা দোভাষীবাজার, রোয়াজার হাট, রানীরহাট, ধামাইরহাট, মোগলের হাট, শান্তিরহাট, গোছরা, সরফভাটা ক্ষেত্রবাজার, পদুয়া রাজারহাট পুরনো কাপড় (তাল ক্যাম্পানি) ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলো পুরো দমে জমে উঠেছে।
স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন বেশি। কাপড় বিক্রিতে পিছিয়ে নেই শপিংমল ও মার্কেটগুলো। রানীরহাট কাপড় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার পুরনো কাপড় বিক্রি বেড়েছে। পুরনো কাপড়ের পাশাপাশি গার্মেন্টেসের তৈরি গরম কাপড় বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পদুয়া রাজারহাটের পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী আকবর আলী বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শীতের প্রকোপে এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ বড়ই কষ্টে আছে। কম দামে পুরনো গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
শিলকের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, ঘরে ঘরে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচণ্ড শীতে সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ সব বয়সের মানুষ এই শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। কাঁশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, আমাশয় সহ ঠাণ্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর সকাল ও সন্ধ্যার পর কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক, চন্দ্রঘোনা-বাংগালহালিয়া সড়কে যানবাহন চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন