সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থপাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ

শিল্পকলার সাবেক ডিজি লিয়াকতকে দুদকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৫৫ পিএম

শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি লিয়াকত আলী লাকীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্থার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তলবি নোটিশ দেন। লাকীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মো. লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার (লিয়াকত আলী লাকী) বক্তব্য গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। এর আগে গত বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের টিম লিয়াকত আলী লাকীর দুর্নীতির রেকর্ডপত্র তলব করে। দুদকের চাওয়া রেকর্ডপত্রের মধ্যে রয়েছে, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলার ঢাকা কার্যালয়ে বরাদ্দকৃত বাজেট ও ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সম্বলিত নথির ফটোকপি। ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র। এছাড়াও রয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সম্বলিত নথির ফটোকপি। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার-ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমী নামীয় সোনালী ব্যাংক, সেগুনবাগিচা শাখা অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের কপি।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া। পরে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় এক যুগ ধরে ডিজির দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চুক্তিভিত্তিক এক কর্মকর্তাকে সচিবের দায়িত্ব দিয়ে এ অর্থ উত্তোলন করে লিয়াকত আলী লাকীসহ একটি সিন্ডিকেট।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। সংগীত বিভাগের কক্ষে ব্যবহারের জন্য পর্দা, ক্রোকারিজ ও ফার্নিচার না কিনে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ, ডান্স অ্যাগেইনস্ট করোনা কর্মসূচির আওতায় নৃত্যদলের সম্মানি, হার্ডডিস্ক কেনা, ডকুমেন্টেশন, প্রপস-কস্টিউম, প্রচার ও বিবিধ ব্যয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের তোলার অভিযোগ উঠেছে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন