রাজধানীর ডেমড়া আমুলিয়া এলাকায় তেলের লড়ির ধাক্কায় হুমায়ুন (৩৪) নামে এক পাঠাও চালক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১০টার দিকে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে পোস্তগোলা টোলপ্লাজার সামনে ট্রাকের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. শাকিল (১৮) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কাজী জাহিদ (১৯) নামে আরও এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
আহতদের ঢামেকে নিয়ে আসা অটোরিকশার চালক সোহেল জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তেলবাহী একটি লরি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী রাস্তায় পড়ে ছিল। স্থানীয়রা তার গাড়িতে উঠিয়ে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমায়ুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মো. হুমায়ুন পাঠাও চালক। তিনি গেন্ডারিয়ার মীরহাজিরবাগের বাসিন্দা। আহত ব্যক্তির নাম শাফিউর রহমান (৩০)। তিনি ডিওএইচএস এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে মার্চেন্ডাইজিংয়ের চাকরি করেন। তাদের বাড়ি আমুলিয়াতেই।
অন্যদিকে নিহত শাকিলের বন্ধু জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শুক্রবার ভোরে শাকিল ও জাহিদ মোটরসাইকেলে করে মাওয়া ঘুরতে গিয়েছিল। ফেরার পথে পোস্তগোলা টোলপ্লাজার সামনে পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডের উপর ছিটকে পড়েন দুজন। পরে আহত অবস্থায় তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। জাহিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। পুলিশ দু’টি ঘটনায় চালকদের গ্রেফতার বা গাড়ি জব্দ করতে পারেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন