শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

গবেষণা ও গ্রন্থাগারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে

ঢাবিতে শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক বড় বড় প্রজেক্ট দেখতে পাই। শত শত নয় হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু এগুলো দেখে মাঝে মাঝে লজ্জা পেতে হয়। কারণ এই সব প্রকল্পে গবেষণার জন্য ল্যাবরেটরির বিরাট কোন অংশ থাকে না, গ্রন্থাগারের কোন অংশ থাকে না। অধিকাংশ প্রকল্পেই থাকে ইট-বালুর বড় বড় দালান। বড় বড় দালান কোটা নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য গবেষণা ও গ্রন্থাগারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রসায়ন বিভাগে ‘অধ্যাপক ফজলুল হালিম চৌধুরী শিল্প রসায়ন ল্যাবরেটরি’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এস এম মাকসুদ কামাল, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
ডা. দীপু মনি বলেন, ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের চেয়ে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় বড় ভবন না থাকলেও যদি বিরাট আকারের গ্রন্থাগার ও উৎকর্ষমানের গবেষণা থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ধরে রাখা সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি।
সুতরাং বড় বড় দালান কোটা না করে একাডেমিক উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করা দরকার জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছে অধিকাংশ দেশে সেইরকম জনসংখ্যা নেই। এই বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে-এটা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত কিনা। আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করছি কিনা। ১০০ বছর আগে যেটা প্রাসঙ্গিক ছিল এখন সেটা প্রাসঙ্গিক আছে কিনা সে নিয়ে ভেবে দেখা দরকার। চাহিদার সঙ্গে মানানসই শিক্ষা আছে কিনা সেটা দেখা দরকার।
দীপু মনি বলেন, উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞান চর্চা খুবই জরুরি। কিন্তু, আমাদের এই জ্ঞানচর্চা সীমিত হয়ে যাবে তা যদি সমাজের মানুষের উন্নয়নে কাজে লাগাতে না পারি। যার ফলে জ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটবে না। এর সুফল মানুষের কাছে পৌঁছাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন নিয়ে দীপু মনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যত বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে আমরা তত বেশি খুশি হব। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনেক বেশি সরকারের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই নির্ভরতা যেমন আছে অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের স্বায়ত্ত্বশাসনের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকে।
উল্লেখ্য, গবেষণাকে আরো যুগোপযোগী করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. ফজলুল হালিম চৌধুরীর নামে এই ল্যাবরেটরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এসেছে সাবেক এই ভিসির পরিবারের সদস্যরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন