নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান চৈতী গ্রুপের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সীমানা বিরোধের কথা বলে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের জড়ো করে সন্ত্রাসী কায়দায় বেশ কয়েকটি পাকা ও আধাপাকা ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়৷ বহিরাগতরা মুহুর্মুহু ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশিয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকাবাসীকে পিছু হটতে বাধ্য করে। এসময় কোম্পানির ভেতর শিল্পপুলিশের একটি টিম দেখা গেলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ও কোম্পানির কাজ বন্ধ করে দেয়৷
এলাকাবাসী আরও জানায়, ছোট শীলমান্দি মৌজায় বেশ আগে থেকেই জমি কিনে শিল্প গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে চৈতী গ্রুপের মালিক আবুল কালাম। নিচু জমি কেনার পর ছোট শীলমান্দি গ্রামের কিছু বসতবাড়িও কেনার প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে নানানভাবে চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিসহ ঘরবাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য করে তারা।
ভূক্তভোগী আসাদ মিয়া জানান, এর আগে কোম্পানির অনুরোধে আমার পৈত্রিক বাড়ির ১১ শতাংশ জমি বিক্রি করি। সেসময় মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বিষয়টি মিমাংসা করে জমির সীমানা চিহ্নিত করে দেন। পরবর্তীতে চৈতী কোম্পানি নিজেদের সীমানা নির্ধারণ করে দেয়াল তুলে দেয়। আমিও আমার জমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেই ও বসবাস করতে থাকি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে তারা আবার দাবি করতে থাকে সীমানা সঠিক নয়।
আসাদ মিয়া আরও বলেন, আজকে সে বিষয়ে একটি শালিশ বৈঠক ডাকলে সেখানেও আমার জমি সঠিক পাই। কিন্তু কোম্পানির লোকজন আগে থেকেই বহিরাগত সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাৎক্ষনিকভাবে বুলড্রোজার চালিয়ে আমার বসতঘরসহ ভাড়াটিয়াদের ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। ভাড়াটিয়ারা নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে আমরা পুলিশে খবর দেই।
এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত চৈতী কোম্পানির কর্মকর্তা মোশাররফ ও সুজন জানায়, আসাদ মিয়ার বাড়ির বিরোধ অংশে কোম্পানির জমি রয়েছে। তবে সীমানা বিরোধ মিমাংসায় তারা মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবুর শরণাপন্ন হয়েছে, তিনিই এটা মিমাংসা করে দিবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত কোম্পানির কাজ বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, বাড়ি ঘর ভাঙচুর হয়েছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন