ভোলা গোরস্থান মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক ইসলামী আন্দোলন নেতা আলহাজ মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীসহ আরো কয়েকজন আলেমের উপর গত ৩ জানুয়ারি ১২নং উত্তর দিগলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুনসুর ও তার বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ভোলা উত্তর শাখার আয়োজনে গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বরিশাল দালান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহর এলাকা প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওলামা মাশায়েখ আইম্মার পরিষদের সভাপতি আলহাজ মাওলানা মুফতি ইয়াছিন নবীপুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মুসলিম ঐক্য পরিষদের ভোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল আলহাজ মাওলানা মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ মাওলানা ওবায়েদুর রহমান বিন মোস্তফা, জাতীয় ঈমান আকিদা পরিষদের সভাপতি আলহাজ মাওলানা মীর বেলায়েত হোসেন, ভোলা জেলা ঈমান আকিদার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজউদ্দিন ফারুকী, আলহাজ মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজী, ভোলা সদর উপজেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ, ইসলামী আন্দোলন ভোলা জেলা উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৩ জানুয়ারি একটি দ্বীনি দাওয়াত থেকে ফেরার পথে মুনসুর চেয়ারম্যার লাঠি দিয়ে মাওলানা আতাউর রহমান মোমতাজীকে পিটিয়ে তার মোটরসাইকেলটি ভেঙে পুকুরে ফেলে দেয়। তার সাথে থাকা মাওলানা সাদেকুর রহমান, মাওলানা আনোয়ার হোসেন রুমি, মুফতি এমরান হোসাইন, মাওলানা আব্বাস উদ্দিনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। প্রতিবাদ সভায় ভোলা জেলার তৌহিদি জনতার পক্ষে ভোলা জেলা জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুনসুর চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করতে হবে।
তারা হুশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, ভোলায় যদি আর কোন আলেম ওলামাকে অপমান অপদস্ত করা হয় তাহলে আলেম সমাজ কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। প্রতিবাদ সভা শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার ফকিহ মুফতি আহাম্মদ উল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন