ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণযোগ্য একটি অতিপ্রয়োজনীয় ভিটামিন যা স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও গঠনে সহায়তা করে থাকে। শরীরের কোন ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে এবং স্কার টিস্যু গঠন করে। দাঁত, হাড় ও কার্টিলেজের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন সি সাধারণ ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভূমিকা রাখে। যারা নিয়মিত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ তুলনামূলকভাবে কম হবে। ভিটামিন সি’র দৈনিক প্রয়োজন বিভিন্ন দেশ ও স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর নিজস্ব মান অনুযায়ী সামান্য তারতম্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি দৈনিক সর্বনিম্ন ৪০ মিলিগ্রাম থেকে ৯০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
ভিটামিন সি’র উৎস : টমেটো, আমলকি, কাঁচা পেয়ারা, আনারস, সবুজ শাক-সবজি, কাঁচা ও শুকনো মরিচ, ব্রুকলি ও ফুলকপিতে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন সি’র অভাব জনিত সমস্যা : ভিটামিন সি’র অভাবে স্পনজি গাম অর্থাৎ মাড়ি নরম তুলতুলে হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ফলিকুলার হাইপারকেরাটোসিস ও পেরিওডন্টাল রোগ দেখা দিতে পারে। আবার ভিটামিন সি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে মুখের আলসার দেখা দিতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন সি অনেক সময় কিডনিতে পাথর পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া কিডনি রোগে বা রেনাল ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সাবধানতার সাথে গ্রহণ করতে হবে। অপর্যাপ্ত ভিটামিন সি এর জন্য পেরিওডন্টাল রোগ দেখা দিতে পারে। ভিটামিন সি দাঁতে পাথর গঠন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া পাথর জমা হতে বাধা প্রদান এবং পাথর অপসারণে কিছুটা হলেও সাহায্য করে। এ কারণে ভিটামিন সি কে অদৃশ্য টুথব্রাশও বলা হয়। মুখ ও দাঁতের জন্য সবচেয়ে ভাল ভিটামিন সি হল সোডিয়াম এসকোরবেট। ভিটামিন সি কোলাজেন সৃষ্টিতে প্রয়োজন হয়। কোলাজেন একটি কানেকটিভ টিস্যু বা যোজক কলা যা আমাদের শরীরের সবকিছু যুক্ত করে রাখে। আমাদের শরীরে অনবরত পুরাতন কোষ ভেঙ্গে পুনরায় নতুন কোষ সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি আমাদের শরীরের হাড়েও এ প্রক্রিয়া চলমান। আমাদের মাড়ি কোলাজেন ব্যবহার করে। কোলাজেন মাড়িকে মজবুত রাখে। তাই ভিটামিন সি মুখের ও শরীরের সুরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
ডা. মো. ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল:dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন