স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী। এই আভিজাত্যের বিপরীতেই গুলশান-বনানীর লেকের ওপারে, কড়াইল বস্তিতে বাস করে লাখ দুয়েক খেটে খাওয়া মানুষ। ভদ্রপল্লীতে যাদের বিশেষণ, নিম্নবিত্ত। কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারীদের আসা-যাওয়ার মূল বাহনই হলো নৌকা। নিরাপত্তা ইস্যুতে যা বন্ধ আছে প্রায় দেড় মাস। এতে কয়েক মিনিটের দূরত্ব এখন চার কিলোমিটার দূরে। লেকবেষ্টিত কড়াইলের মানুষ এখন ভেসে বেড়ায় ভেলায়। তাদের দাবি নৌকা পারাপার চালু করে কষ্ট লাঘবের।
লগি-বৈঠার নৌকা এখন নিরাপত্তার হুমকি। তাই লেকের পানিতে অর্ধডুবন্ত সারি সারি খেয়া।
রাজধানীর গুলশান-বনানী লেক দিয়ে ঘেরা কড়াইল বস্তির বউবাজার নৌকাঘাট এখন নিশ্চুপ-নিথর। মৃদু তরঙ্গ বয়ে যায়, কিন্তু ওপারের ভদ্রপল্লী যেন অনেক দূরে। যে ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পার হতো অর্ধলাখ মানুষ, তারা এখন দিশেহারা। কড়াইল বস্তির বউবাজার ঘাট দিয়ে নৌকায় দুই টাকায়, মহাখালীর পারে যেতে সময় লাগে ৫ মিনিট। নৌকা বন্ধ থাকায় সেই গন্তব্য এখন ৪ কিলোমিটার দূরে। আর খরচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আরো কয়েকটি ছোট ঘাট দিয়েও নিয়মিত চলত নৌকা।
খেলার ছলে ভেলায় ভাসা নয়, নৌকা বন্ধ করে দেয়ায় শোলার ভেলায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় কড়াইলবাসীকে। তাও মূল ঘাট দিয়ে নয়, পেছনের অংশে ছোট ঘাটগুলোতে। কিন্তু এই ভেলায় যেন সাধারণের নিরাপত্তাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ছন্দপতনে গ্রাস করেছে দুশ্চিন্তা। বড় ঘাটে শুধু নৌকাই বন্ধ হয়নি, নেই ঘাটের বেচাকেনাও। অলস দিন যাচ্ছে খেয়ার মাঝিদের। দোকানের ঝাপ বন্ধ করে খুলল অভিযোগÑ আর ক্ষোভের ঝাপি।
অনেকের কাছে দৌড়েও কোনো সমাধান আসেনি তাই দাবি খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছেই। গত ২২ সেপ্টেম্বর বনানী থানা পুলিশ মৌখিক নির্দেশে এই নৌকা পারাপার বন্ধ করে দেয় প্রশাসনিক নির্দেশে। কিন্তু কবে খুলবে কিংবা আদৌ খুলবে কি না সেসব বিষয়ে কোনো উত্তর নেই পুলিশের কাছে। এমনকি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কেউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন