কুষ্টিয়ার মিরপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে নাজনীন নাহার মীম নামে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা করেছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাকিলাদহ সেন্টারপাড়ায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। সে পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুরের বিপুল মন্ডলের মেয়ে। পোড়াদহ বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। আত্মহত্যার সময় সে তার সৎ বাবা সোহেল রানার বাড়িতে অবস্থান করছিলো।
স্থানীয় যুবক সাইদুল জানান, ৭ বছর বয়সে মীমের বাবার সঙ্গে মা মিনারা খাতুনের ডিভোর্স হয়। পরে মীমের মায়ের বিয়ে হয় কাকিলাদহের সোহেল রানার সাথে। মিম তার বাবার বাড়িতেই বড় হয়। মিমের এক বছর পূর্বে বিয়ে হলেও কিছুদিন আগে আরেকটি ছেলের সাথে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে ১দিন থাকার পরে বাড়ি চলে আসে। পরে তার বাবার সাথে এ বিষয়ে মনোমালিন্যের কারণে সৎ বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে সৎ বাবার বাড়িতে অবস্থানকালীন গতকাল বিকেলে আত্মহত্যা করে।
মৃত কিশোরীর সৎ দাদী কোহিনুর খাতুন জানান, সকালে মিরপুর হাসপাতাল থেকে করোনার টিকা দিয়ে তার সৎ বাবার বাড়িতে যায়। এসময় সে দুপুরের খাবার খেয়ে দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। তার মা মিনারা খোঁজ নেয়ার জন্য দরজা বন্ধ পেয়ে ধাক্কা ধাক্কি করে দরজা খুলতে না পেরে জানালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখতে পায় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ওড়না কেটে নামানোর পরে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। মিরপুর হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মরিয়ম বেগম জানান, আত্মহত্যাকারী মীমকে হাসপাতালে আনার পরে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পরে পুলিশে খবর দিয়ে লাশ হস্তান্তর করেছি। মিরপুর থানার তদন্দকারী কর্মকর্তা এস আই আবু সাঈদ জানান, হাসপাতাল থেকে সংবাদ পেয়ে আমরা এসে লাশ গ্রহণ করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন