সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হাতিয়ায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

হাতিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা সম্পর্কে মা-মেয়ে। নিহতদের পরিবারের দাবি এটা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে গুল্লাখালি এলাকার নিজ বাড়ির আঙ্গিনা থেকে তাদের লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, প্রবাসী রবিউল হোসেনের স্ত্রী লুৎফা বেগম ও মেয়ে চাঁদনী বেগম। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী বিদেশে থাকায় গুল্লাখালি গ্রামের বাড়িতে মেয়ে চাঁদনীকে নিয়ে থাকতেন লুৎফা বেগম। এরআগেও লুৎফার একবার বিয়ে হয়েছিল।

সে সংসারে নাদিয়া নামের একটি মেয়ে রয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে মেয়ে নাদিয়া স্বামীর বাড়ি সোনাদিয়া থেকে বাড়িতে আসার পর তাদের বসত ঘরের পাশের উঠানে মা লুৎফা বেগম ও ছোট বোন চাঁদনীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। নাদিয়া জানান, তার স্বামী চাটখিলে চাকরি করেন। গত কয়েকদিন আগে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন নাদিয়া। স্বামীর কাছে চাটখিল যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে মায়ের সাথে দেখা করতে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর তার মা ও বোনকে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খোঁজতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে বসত ঘরের পাশ্ববর্তী উঠানে তাদের দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার মা ও বোনের পরনের কাপড় এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিহত লুৎফা বেগমের ভাই কাউসার অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লুৎফার সাথে কয়েকজন প্রতিবেশির জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এরআগেও তারা কয়েকবার লুৎফার ওপর হামলা চালিয়ে ছিলো। এসব ঘটনায় গত ২-৩ দিন আগেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়েছিল। হাতিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন