কওমি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল করোনা সম্পর্কিত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যেই এই টিকা কার্যক্রম চলছে। এর পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসাতেও আমাদের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এই শিক্ষার্থীদের আমরা টিকা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, তাদের টিকা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা কওমি মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের কাজটি যেন শেষ হয়, আমরা শতভাগ টিকা দিয়ে দিতে পারবো। কওমি মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকদেরও টিকার আওতায় আনা হবে জানান ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যেসব পরিবহন শ্রমিক আছেন যারা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করার জন্য কাজ করছে তাদেরও আমরা টিকা দিতে চাই। কাজেই এই সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা যদি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কাছে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের টিকা দেওয়ার কাজটি আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র দেশে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করছে উল্লেখ করে বলেন, ধরে নিতে হবে দেশে এখনো ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন যেভাবে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিস্থাপন করছে, আমাদের দেশেও একসময় ওমিক্রনের বিস্তার হতে পারে। এ কারণে আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দেশে অব্যাহতভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী ও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০ হাজার ২৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হিসাবে নতুন রোগী শনাক্তের হার ২২২ শতাংশ বেড়েছে।
গত এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়। আগের সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ছিল ২০ জন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত রোগী ৬১ শতাংশ বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন