বগুড়া পৌরসভা ও সদর এলাকার একমাত্র সরকারি হাউজিং প্রকল্পে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। স্থানীয়রা বলছেন, চাহিদা এবং সময়ের দাবিতে বগুড়ায় আরও একটি নতুন হাউজিং প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে ১৯৬৬ সালে বগুড়ার নিশিন্দারা এলকায় ৬০ দশমিক ৩২ একর জমি নিয়ে প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। তবে শুরু থেকেই প্রকল্প এলাকায় বসবাস করা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে তেমন একটা আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। স্বাধীনতা পরবর্তী আশির দশকে বগুড়ায় জেলা প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেনের উদ্যোগে ব্যাবসায়ী ও পেশাজীবিরা কিছু প্লট ক্রয় করেন।
আর নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিশিন্দারা হাউজিং প্রকল্পে প্লট নেওয়া নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা লবিং শুরু হয়। এই হাউজিংয়ে এখন বসবাসকারীদের মতে, প্রকল্পে হাতবদলের মাধ্যমে প্লট পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার। এমন প্রেক্ষাপটে সচেতন মহল মনে করছেন, বগুড়ায় সব শ্রেণীর লোকদের চাহিদা মাথায় রেখে নতুন এক বা একাধিক সরকারি হাউজিং প্রকল্প গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
বগুড়া হাউজিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের ৪০৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১০৬টি, নবসৃষ্ট ২৪টি প্লটের মধ্যে ১৬টি, ২০টি বাণিজ্যিক প্রকল্পের মধ্যে ২০টি, ৪টি প্রাতিষ্ঠানিক প্লটের মধ্যে ৪টি, ৪০টি সেমিপাকা বাড়ির সবগুলোই বরাদ্দ হয়ে গেছে।
এছাড়াও ২০১০ সালে প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে ১০ তলার পৃথক ৩টি ফ্ল্যাট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনগুলোর ১৫৫৬ বর্গফুটের ৪৫টি, ১৩৪১ বর্গফুটের ৫৪টি এবং ১২২৪ বর্গফুটের ৩৬টি নিয়ে ১৩৫টি ফ্ল্যাটও ইতোমধ্যে বরাদ্দ বা বিক্রি হয়ে গেছে।
প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, নতুন এক বা একাধিক হাউজিং প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। জমি পাওয়া গেলে নতুন হাউজিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন