রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের জামাই পাগলের মাজার হতে বাগমারা হাট সড়কে চলমান উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে না, সঠিকভাবে বিটুমিন প্রদান ও সড়কের দুই পাশে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও তা না করে করা হচ্ছে কাজ। এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের জামাই পাগলের মাজার হতে বাগমারা হাট পর্যন্ত ৭ হাজার ৬ শত ৪৫ মিটার সড়কে ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮১১ টাকা ৭৩ পয়সা ব্যয়ে কাজটি পায় নাটোর জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর হাবিবুল আলম। যার কার্যাদেশ প্রদান করা হয় গত ২০১৯ সালের ৬ জুন। কাজটি সমাপ্ত করার কথা ছিলো ২০২০ সালের ০৬ ডিসেম্বর। যার অর্থায়ন করেছে এডিবি।
গতকাল সোমবার সকালে ওই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা গত তিন বছর যাবৎ কষ্ট করে আসছি। সড়কে ধুলোবালিতে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। আমাদের একটাই দাবি সড়কে সঠিক নিয়মে বিটুমিন দেওয়া হোক, সড়কের পাশে কোনো মাটি দেওয়া হয়নি। তা যেন দেওয়া হয় তাছাড়া বিটুমিন ধরে রাখার জন্য যে ইজিং ( ইটের বাধ) থাকে তাও দেওয়া হয়নি।
মোটরসাইকেল চালক ও মাটিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, ভাইরে কার কাছে বলবো দুঃখের কথা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারাই যেখানে অনিয়মের সাথে জড়িত। তারা কাজের দেখভাল ঠিক নিয়মে করেন না। গতকাল সড়কে ঝামেলা কাজ বন্ধ তাই তারা তাদের স্বার্থ হাচিলের জন্য দৌড়ে এসেছে। এভাবে কাজ করলে বড় জোর ছয় মাস যেতে পারে। আবার আমাদের ভোগান্তি বাড়বে। সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মৃদ আলম জানান, স্থানীয়দের কাজের মান সম্পর্কে ধারণা নেই, যে কারণে তারা অভিযোগ তুলেছেন। এই কাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। আমরা নিয়ম মেনে কাজ করছি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী দাবি করেন কাজের মান ভালো হচ্ছে। বৃষ্টির দোহাই দিয়ে তিনি বলেন, যে সকল স্থানে মাটি দেওয়া হয়নি সেখানে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সমাপ্ত হওয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তারা নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। যে কারণে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে, কার্যালয়টি চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়িয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন