স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনের কোন পরিবেশগত ক্ষতি না করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সকল নিয়ম কানুন ও শর্ত মেনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সর্তকতার সাথে এগিয়ে নেয়ার সুপারিশ করা হয়। আগামী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২৫তম বৈঠক এ সুপারিশ করা হয়। বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপনের কাজ নয় মাসের পরিবর্তে তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করে হয়। তাছাড়া, বিদ্যুৎ এর খুঁটি স্থাপনের জন্য ঠিকাদার যেন জনগণের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুপারিশ করে।
কমিটির বৈঠকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন-২০১৬ সময়ে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা/কোম্পানি কর্তৃক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত ও প্রক্রিয়াধীন দরপত্রের বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটি আগামী ৩ বছরের মধ্যে প্রিপেইড মিটার স্থাপন ১০০% করার সুপারিশ করে। ১৩২০মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিঃ মিঃ ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইট থেকে ৬৫ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত হওয়ায় অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং কারিগরি ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের গবেষণা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের পরিবেশ অধিদপ্তরের সকল নিয়ম কানুন ও শর্ত মেনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সতর্কতার সাথে এগিয়ে নেয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে সুন্দরবনের কোন পরিবেশগত ক্ষতি না করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বলা হয়। কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আতিউর রহমান আতিক, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন (নাছিম), এ, বি, এম রুহুল আমিন হাওদার এবং নাসিমা ফেরদৌসী। এবং বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন