শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস অনিশ্চিত

বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় রুট

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

অনিশ্চয়তার আবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি। বিআইডব্লিউটিএ’র কনজার্ভেন্সী ও ড্রেজিং বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর বিআইডব্লিউটিসি পরীক্ষামূলকভাবে একটি নৌযান পরিচালনা করে। তবে বাণিজ্যিক পরিচালনার বিষয়ে আর তেমন কোন অগ্রগতি নেই। অথচ এ রুটের জন্য গত দু’দশকে চীন থেকে এমভি বার আউলীয়া নামে একটি নতুন নৌযান সংগ্রহ ও ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি পুরানো নৌযান মেরামত করা হয়। আরো প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গত মার্চে এমভি তাজউদ্দিন আহমদ ও এমভি আইভি রহমান নামে দুটি নতুন নৌযান সংগ্রহে সরকার অর্থ প্রদান করে। বিশ্ব ব্যাংকের সুপারিশে দেশের উপকূলভাগে নিরাপদ যাত্রী পরিবহনকে সরকার গণদায়বদ্ধ সেবাখাত হিসেবে ঘোষণা করে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসিকে প্রতি বছর নগদ ভর্তুকিও প্রদান করছে সরকার।

সচল নৌযানের অভাবে ২০১১ সালের মধ্যভাগ থেকে রুটটিতে উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে। অথচ এ রুটের কথা বলেই সংস্থাটি ২০০২ সালে চীন থেকে এমভি বার আউলীয়া সংগ্রহ করে ও এমভি আবদুল মতিন ও এমভি আলাউদ্দিন আহমদ নামের দুটি নৌযান মেরামতে সরকারি অর্থ সংগ্রহ করে। এমনকি গত এপ্রিলে ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এমভি তাজউদ্দিন আহমদ ও এমভি আইভি রহমান নামে দুটি নুতন নৌযান সংগ্রহে সরকার যে অর্থ প্রদান করে তাও এ রুটে যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যেই ।
কিন্তু দেশের দীর্ঘতম এ উপকূলীয় নৌপথে কবে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। গত ২ ডিসেম্বর এ নৌপথে পরীক্ষামূলক পরিচালনার পরে বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রামের বাণিজ্য ও মেরিন বিভাগ থেকে নৌপথের দুটি পয়েন্টে নাব্যতা সঙ্কটসহ কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরে সদর দফতরে প্রতিবেদন দেয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষ থেকে ‘বামনীর নালা’ ও ‘সেলিম বাজার টেক’ এলাকায় ড্রেজিং করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ’র চট্টগ্রাম অঞ্চলের কনজার্ভেন্সী ও পাইলট পরিদফতরের উপ-পরিচালক জানান, বামনীর চর এলাকায় এ ধরনের নৌযান চলাচলের জন্য নাব্যতার কোন সঙ্কট নেই। সেলিম বাজার পয়েন্টে নাব্যতা উন্নয়নে ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। নৌপথটি অত্যন্ত স্পর্ষকাতর হওয়ায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ড্রেজিং করতে কিছুটা সময় লাগছে বলে জানান তিনি। তবে এরপরও আগামী একমাসের মধ্যে ড্রেজিং সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, বিআইডব্লিউটিএ নৌপথের ক্লিয়ারেন্স দিলে আমরা সার্ভিসটি চালুর উদ্যোগ নেব। তবে যাত্রীবাহী সার্ভিস লাভজনক না হওয়ায় সব অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় রুটে নৌযান ইজারার মাধ্যমে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি। কিন্তু নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বা ইজারার মাধ্যমে ঠিক কবে নাগাদ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় নৌপথে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে সে ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন