ভূমিহীনদের জন্য সরকারের চলমান আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বহুতল ভবন নির্মাণ করার প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা; তবে কেন তা করা হবে না, তা ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। গতকাল জেলা প্রশাসক সম্মেলনের পর ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাঠামো নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
ডিসিদের পক্ষে একটি প্রস্তাব ছিল বহুতল ভবন করা যায় কিনা। বহুতল ভবন করলে সেটি স্থায়ী হবে, আপনারা সবাই বুঝতে পারেন। কেন করি না সেটা হচ্ছে যে, একটা বহুতল ভবন করতে যে টাকা খরচ হবে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর যে প্রত্যাশা বা নির্দেশনা, বাংলাদেশে মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু ওটাকে কাস্টমাইজ করার জন্য এই প্রস্তাবটা বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। বহুতল ভবন করা মানে হচ্ছে এখানে ৫০ বছর থাকা। মুখ্য সচিব বলেন, ছিন্নমূল পরিবারগুলোর আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই আশা নিয়ে যে, সেখানে থোকা তারা নিজেদের অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে পারবে। সেজন্য আমরা পারমানেন্ট স্ট্রাকচারে যাইনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় ডিসিদের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই নির্দেশনাগুলো পালন করে বাস্তবায়ন করা।
মুখ্য সচিব বলেন, কৃষি জমি নষ্ট করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোনো বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে না। ৯৯ বছরের জায়গায় এ প্রকল্পে ৩০ বছরের নীতিমালা করার প্রস্তাব করেছিলেন ডিসিরা, কিন্তু সেটাও পরিবর্তন করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, কাজ করতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতার কথা ডিসিরা তাদের আলোচনায় ‘বলেননি’। করোনা মহামারীর মধ্যে ডিসি থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সমন্বিতভাবে অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এ জন্য আমি গর্ববোধ করি। সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে কাজ করেছেন সেজন্য আমি গর্বিত।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রকল্পে আট জায়গায় দুর্নীতি পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাজেট বাড়িয়েছে সরকার। আগে যেখানে প্রতি ঘরের জন্য এক লাখ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল, এখন সেটা আড়াই লাখ করা হয়েছে বলে জানান আহমদ কায়কাউস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন