শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সেবা নিতে এসে মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন

ডিসিদের প্রতি ২৪ দফা নির্দেশনা ডিসি সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

সব ধরনের ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের বলেন, সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন। শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে। দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে আগের মতো সজাগ ও সচেতন থেকে ডিসিদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনদিনের ডিসি সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন উদ্বোধনকালে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের ২৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আপনারা যে বিশাল কাজ গুলো করছেন তার মধ্যে কিছু সমস্যার বিষয়ে আপনাদের ফোকাস করার আহ্বান জানাই। দেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে যাওয়ায় দায়িত্ব বেড়ে গেছে। সরকারি সেবা নিতে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কভিড-১৯ এর নতুন প্রকোপের কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৫ জন মন্ত্রী ও সচিবের উপস্থিতিতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মেলন শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বক্তব্য রাখেন। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে এবং চাঁদপুর ও রংপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও আসিফ আহসান জেলা প্রশাসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের মাধ্যমে সারাদেশে সরকারের সকল উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনগণের কল্যাণ ও কাজ নিশ্চিত করার জন্য সেবা সম্পর্কিত একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সেবার মনোভাব নিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিসিদের জন্য যে ২৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। তা হচ্ছে-

(১) করোনাভাইরাস জনিত সংকট মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ মাঠ পর্যায়ে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে; (২) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রম সমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং এর ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে হবে; (৩) খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে;
(৪) সরকারি অফিস সমূহে সাধারণ মানুষ যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বিঘ্নে যথাযথ সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সেবা প্রত্যাশীদের সন্তুষ্টি অর্জনই যেন হয় সরকারি কর্মচারীদের ব্রত;

(৫) এসডিজি স্থানীয় করণের আওতায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জনে তৎপরতা জোরদার করতে হবে; (৬) গৃহহীনদের জন্য গৃহনির্মাণ, ভূমিহীনদের কৃষি খাসজমি বন্দোবস্তসহ সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে যেন প্রকৃত অসহায়, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ সুযোগ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে; (৭) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের পাঠদান কার্যক্রমের মানোন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থায় অনলাইনে বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে; (৮) কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো যেন কার্যকর থাকে তা প্রতিনিয়ত তত্ত্বাবধান করতে হবে এবং নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে হবে;

(৯) শিশু-কিশোরদের শারীরিক-মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদের জন্য প্রত্যেক এলাকায় সৃজনশীলতার চর্চা, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; (১০) নাগরিকদের সুস্থ জীবনাচারের জন্য জেলা ও উপজেলায় পার্ক, খেলার মাঠ প্রভৃতির সংরক্ষণ এবং নতুন পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে; (১১) পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে উচ্চ প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে;

(১২) জনসাধারণের মাঝে তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার, গুজব ইত্যাদি রোধকল্পে উদ্যোগ নিতে হবে;
(১৩) বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রাখার লক্ষে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে; (১৪) মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত রাখতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করতে হবে; (১৫) নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন ও বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি, খাদ্যে ভেজাল, নকল পণ্য তৈরি ইত্যাদি অপরাধ রোধকল্পে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে হবে;

(১৬) বাজারে পণ্যের সরবরাহ মসৃণ রাখতে, কৃত্রিম সংকট রোধকল্পে ও পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে; (১৭) সরকারি জমি, নদী, বনভূমি, পাহাড়, প্রাকৃতিক জলাশয় প্রভৃতি রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের উদ্দেশে নতুন সরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দিতে হবে; পরিকল্পিত নগরায়ন ও বনায়ন নিশ্চিত করতে হবে। (১৮) পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নতুন নতুন পর্যটন স্পট গড়ে তুলতে হবে;

(১৯) জেলার নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা এবং জেলাভিত্তিক বিখ্যাত পণ্যসমূহের প্রচার ও বিপণনে উদ্যোগী হতে হবে; (২০) জেলার সকল সরকারি দপ্তরের কার্যক্রমসমূহ যথাযথভাবে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছাতে আপনাদের ব্রতী হতে হবে। (২১) জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে, উপজেলা, জেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র এবং অন্যান্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা রয়েছেন তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হবে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সমন্বয় করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প যেন যত্রতত্র না হয় সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

(২২) সমাজে অনগ্রসর শ্রেণি বেদে, জেলে, কৃষক, হিজড়া, হরিজন ও পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ যারা একেবারেই সমাজের অনগ্রসর শ্রেনী তাদের সার্বিক উন্নয়ন, বাসস্থান এবং তাদের জন্য সবধরনের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে। (২৩) মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন অঞ্চলে গণহত্যার শিকার পরিবারগুলোর বর্তমান অবস্থা জানা এবং তাদের যথাযথ সম্মানজনক জীবন যাত্রার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
(২৪) গণকবর সংরক্ষণ এবং যুদ্ধক্ষেত্র গুলো চিহ্নিত করে সে গুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এর ইতিহাস জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোর যত্ন নেয়ার পাশাপাশি তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে। সকলে খেয়াল রাখবেন কারণ আমি আর দেখতে চাইনা কোন শহীদ পরিবার, জাতির পিতার চিঠি যার হাতে সে ভিক্ষা করে খাবে-এটা যেন না হয়। আমরা যত কাজই করি এই কাজটা সব থেকে আগে করতে হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার ভিক্ষা করবে এটা আমাদের জন্য মোটেই সম্মানজনক নয়।

প্রধানমন্ত্রী জেলা-উপজেলা পর্যায়ের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো মাষ্টার প্ল্যানের মাধ্যমে করার এবং এজন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের আহবান জানান। তিনি অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প পরিহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথাও কোন মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ পরিবার বা গণহত্যার শিকার কোন পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কিনা সেটা আপনাদের দেখতে হবে। এঁদের অবদানে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। জাতির পিতার ডাকে সবকিছু ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তারা দেশ স্বাধীন করলেও ’৭৫ এর পর তাদের আর অস্তিত্বই স্বীকার করা হয়নি। তাই, তাদের দুর্ভোগের সীমা ছিলনা। কিন্তু এখন আমরা যখন সরকার পরিচালনা করছি, তখন তাদের কেউ ভিক্ষা বৃত্তি করবে সেটা আমাদের জন্য খুব লজ্জার। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার আহবান জানান।

শেখ হাসিনা ডিসিদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষের কল্যাণে সকল প্রকার ভয়-ভীতি ও প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ দায়িত্ব পালনের জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অনগ্রসর শ্রেণীর অনেককে পুনর্বাসিত করা হয়েছে কিন্তু একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে, সেটার অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। আর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে যেখানে জমি পাওয়া যাবেনা সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে অর্থ দেয়া হবে। প্রকল্পে টাকা না থাকলেও আমরা জমি কিনে দিতে পারবো। দ্রুত এই কাজগুলো করার অনুরোধ জানান তিনি।

পাশাপাশি হাওড় অঞ্চলে রাস্তা-ঘাট নির্মাণের ক্ষেত্রে এখন থেকে রাস্তাগুলো এলিভেটেড করার এবং উন্নয়নের জন্য পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং জীব বৈচিত্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য স্থানীয় সরকার সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। এই ১শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল যখন তৈরী হবে তখন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে যে অঞ্চলে যে জিনিষের প্রাধান্য সেদিকে লক্ষ্য রেখেই উৎপাদন বাড়ানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরার উদ্যোগ নিতে হবে। দেশের চাহিদা মেটানো এবং বিদেশে রপ্তানীর জন্যও নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন করতে হবে। পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেন বিনিয়োগ আসে এবং যেখানে বিনিয়োগ আসছে সেখানে যেন খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে ওঠে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুখ্য সচিব এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কেও লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় স্কুল ফিডিং কর্মসূচীটিকে স্বপ্রণোদিত কর্মসূচিতে রূপান্তর করার আহবান জানান। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় বিত্তশালীগণ সমন্বিতভাবে এই কাজটি করতে পারেন। এতে ঝড়ে পড়া রোধ পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যেসব প্রকল্প চলমান আছে বা যেসব প্রকল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে সেগুলো যথাযথ মানসম্পন্ন হচ্ছে কিনা এবং অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত এবং নজরদারির ব্যবস্থা আপনাদের অবশ্যই নিতে হবে। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের যেসব প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে জনসেবা ও জনকল্যাণমূলক সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। এতে করে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ২৬৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ডিসি সম্মেলন করা হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
চৌধুরী হারুন আর রশিদ ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৩৪ এএম says : 0
আশা করি সবাই এই নির্দেশনা মানকে
Total Reply(0)
Faruk Ahmed Chowdhury ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪১ এএম says : 0
হয়রানি হতে হতে বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে, কিন্তু সমাধানের পথে হাটছেই না উল্টো হয়রানি হয়ে হয়ে বছর গড়াচ্ছে ।
Total Reply(0)
Md Tamim ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪১ এএম says : 0
কথা গুলো ওনারা এক কান দিয়ে শোনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়!
Total Reply(0)
Razzak Hossain ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪২ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই
Total Reply(0)
MD Motiur Rahman Motin ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৫ এএম says : 1
উন্নয়নের সরকার বার বার দরকার, শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার
Total Reply(0)
Sheikh Nasir Ahmed ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৫ এএম says : 1
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তুন শেখ হাসিনা জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ও জাতি সকল ক্ষেএে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বীর দর্পে এগিয়ে যাচ্ছে।
Total Reply(0)
সেলিম রেজা মিঠু ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৬ এএম says : 1
অভিনন্দন নিরন্তর শুভ কামনা রইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি
Total Reply(0)
Shahajan Ali ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৬ এএম says : 1
As the Prime Minister of Bangladesh we are really proud of Honorable PM Sheikh Hasina. Thank you for keeping our faith and moving Bangladesh towards development.
Total Reply(0)
Abdul Hye ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৭ এএম says : 0
District administrator post is the most important post for removing corruption from the the village level to district administration. We hope that each district administrator shall follow ideology of Prime Minister Sheikh Hasina for removing corruption from the society.
Total Reply(0)
Kamal Bin Yousuf ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৮ এএম says : 1
Leader like you is a gem for our country. We truly appreciate your leadership.... Ma'am.
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৩ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা করছি। চট্টগ্রামের কোভিট পরিস্থিতি সেবার মানের জঘন্যতম পরিকল্পনা সামান্য চিত্র তুলে ধরছি। শিশুদের টিকার লাইন চট্টগ্রামের নবাব সিরাজদৌলা রোডে বলিখেলার মতই দেখা যাচ্ছে শত শত শিশু কিশোর কিশোরী অভিবাবক রাস্তায় উপরে পাশে এই বিশৃঙ্খলা অপরিকল্পিত টিকার মত অত্যন্ত কার্যক্রমের জন্যে কে দায়ী? কোভিট পরিস্থিতি মোকাবেলায় টিকা কার্যক্রমের দায়িত্ব কাদের? সুস্থ সুন্দর পরিবেশের চিন্তা কেন নেই? চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিত্র জব্বারের বলি খেলা সমাগম। বিশৃঙ্খলা হাজারো মানুষের লাইন সিমাহীন মানুষের কষ্ট সারাদিন রোদের উপর মহিলা ও পুরুষের লাইন কোভিট বাড়ছে না কমছে? স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু এখানে নেই। দেখার মানুষ নেই।আপনার হাজার কোটি টাকার ফ্রি টিকা পাওয়া জনসাধারণেরমাঝে বিতরণ সুশৃঙ্খলা কর্মসূচি নেই। অত্যন্ত মানবিক গুরুত্বপূর্ণ টিকা কর্মসূচি গুলো মানুষের পৌছানোর দেওয়ার জন্যে চট্টগ্রামের ৪১ ওয়াড়ের কমিশনার গন স্বাস্থ্য কর্মির মাধ্যমে টিকা গুলো দিতে পারতেন মানুষের মাঝে সরকারের বিশালাকার কাজের জীবন বাচানোর জন্যেই টিকা কর্মসূচি তৃণমূল সেবা উপকারিতা সার্থকতা পেত। এই বিশাল কোভিট পরিস্থিতি মহামারীতে আপনার ভীশনারি কর্ম তৎপরতার চিত্র প্রকাশীত হতো। সব চায়তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থানীয় জাতীয় পত্রিকা গন মাধ্যমে স্বাস্থবিষয়ক কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা নেই। কোভিটে আক্রান্ত মানুষের পরিক্ষার স্থান কে আক্রান্ত কে ভাল শৃংখলা বলতে কিছুই নেই। জগাখিচুড়ি দেখার বলার কেও নেই। পরিকল্পনা নেই। কোভিট আক্রান্তের জন্যে সুশৃংখলা পরিবেশ নিরাপত্তাব্যবস্থা জরুরী এটি বুঝবার জন্যে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রযোজন আছে? আপনি বলেছেন জাতীয় পত্রিকায় শিরোনাম হলো। সেবা নিতে মানুষ যেন হয় রানির শিকার না হয়। এটি দেখার শুনার বুঝবার দায়িত্ব পালন করার দায়িত্ব কর্তব্য কাদের। চিত্র পরিস্থিতি বাস্তবতা কি বলে? জন গুরুত্বপূর্ণ মানবিকতার কাজ গুলো পরিকল্পনা নিয়ে করতে হয়। আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জরুরী ভাবে নির্দেশনা দিন।আগে জনপ্রতিনিধি তারপর রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সকলস্তরের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এই মুহুর্তে আপনার হাজার কোটি টাকার ফ্রি কোভিট টিকার প্রকল্পের কর্মসূচি মানবিক করুন। আপনাকে শ্রদ্ধা ও সালাম।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন