নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পুলিশের সদস্য বহনকারী একটি প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়। এর মধ্যে একজন এএসআইর বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার মুনরাবাদে। অপরজনের বাড়ি ফরিদপুরে গোপালগঞ্জ চরভাটপাড়া। হটাৎ এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত দু’জন হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। নিহত দুই এসআই সোনারগাঁ থানায় কর্মরত ছিলেন। এসআই কাজী সালেহ আহমদের গ্রামের বাড়ির তথা নিহতের আত্মীয়-স্বজন সবাই এক নজর প্রিয় জনের লাশ দেখার জন্য রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে যান বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
এ বিষয়ে তার চাচাতো বোন জামাই মো. নাজিম মুন্সী গণমাধ্যমকে জানান, ভাইয়ের এভাবে চলে যাওয়ায় আমাদের পরিবারটি সম্পূর্নই ভেঙে পড়েছে। কাজী সালেহ আহমদের লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে বলে জানা যায়। নিহতের লাশ ঢাকাতে দাফন করা হয়। গ্রামের সকলেই মর্মাহত সবার মাঝে নেমে আসছে শোকের ছায়া। নিহতের স্বজন জুয়েল ফকির জানান, মানিক (কাজী সালেহ আহমদ) ভাইয়ের মৃত্যুর খবর আমরা রাতেই শুনতে পাই। তার অকাল মৃত্যু আমরা কোনমতেই মেনে নিতে পারছি না। উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ দত্তপাড়া বাদশা গ্যারেজের একটু সামনে একটি প্রাইভেটকার পুকুরে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা পুকুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও এর মধ্যে দুই পুলিশ অফিসার মারা যায়। দুজনের বাড়িই বৃহত্তর ফরিদপুর। নিহত এসআই কাজী সালেহ আহমদের দাফন ও জানাজা গত মঙ্গলবার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। গত মঙ্গলবার ও তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ছিল স্বজন মানুষের ঢল এবং শোকের মাতাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন