ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই নৌকা ও বিদ্রোহী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে ওই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি বাড়িঘর দোকানপাট ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, ৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক না পেয়ে একাধিক পার্থী বিদ্রোহী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এঅবস্থায় সকলেই নিজ দলের নেতা হওয়ায় কেউ কাউকে যেন ছাড় দিচ্ছে না। তাই প্রতীক বরাদ্দের পূর্বেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলছে সংঘর্ষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য। এরই মাঝে সোমবার উপজেলার ৩ নং সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আলোচনা সভার পর নৌকা মনোনীত প্রার্থী সাহজাহান ভূঁইয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী একরাম হোসেন ভূঁইয়ার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ বাদে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাশাপাশি দুটি মোটরসাইকেল ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। বিদ্রোহী প্রার্থী একরাম হোসেন ভূঁইয়া জানান নৌকার প্রার্থীর বর্ধিত সভা শেষে বাধাটি বাজারে মাসুদ নামের আমার এক কর্মীর দোকানে হামলা চালায় এবং তাকে মারধর করে। এসময় এলাকার লোকজন তাদের এমন কর্মকাণ্ড দেখে ধাওয়া দেয়।
নৌকা মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাহজাহান ভূঁইয়া জানান, আমাদের দলীয় বর্ধিত সভা শেষ করে ফেরার পথে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আমাদের উপর হামলা করে। এহামলায় এমদাদুল হক নামের আমার এক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
অপরদিকে মঙ্গলবার রাতে ৯নং উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর গ্রামে নৌকার প্রার্থী শফিকুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলামের কর্মী সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ বাদে। এসময় উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। এর মধ্যে নৌকা প্রার্থীর আপন বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রয়েছেন। পরে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এঘটনায় কোন পক্ষেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টির পর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবং সকল প্রার্থীদের কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাহাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন