শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

না পড়েই বিএনপির মন্তব্য

ইসি আইনের খসড়া সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূণ্যতা এবং সবকিছুতে না বলার বাতিকেরই প্রমাণ। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আইন প্রস্তুত করার জন্য খসড়া মন্ত্রিসভায় প্রেরণ করেছে, মন্ত্রিসভা সেই আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে। আমাদের সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করার কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও সেই আইন হয়নি। মহামান্য প্রেসিডেন্ট গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যে সংলাপ করেছেন, সেখানে বেশির ভাগ দলই একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। সে প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যায়। কিন্তু সরকারের এই ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, তাতে মনে হয় তাদের দলের যে নেতারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যটি তৈরি করে দিয়েছেন, তারাও পড়েন নাই।
ড. হাছান বলেন, না পড়েই নজরুল ইসলাম খান সাহেব নানা মন্তব্য করেছেন যে, এখানে কোনো বেসরকারি লোক বা কোনো আইনজ্ঞকে নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়নি। অথচ আইনের খসড়ায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যিনি ২০ বছর ধরে সরকারি কিংবা বিচার বিভাগীয় পদে বা আধা-সরকারি কিংবা বেসরকারি পদে কাজ করেছেন তাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়া যাবে। বেসরকারি যখন বলা হয় সেখানে আইনজ্ঞ, বিশেষজ্ঞ সবাই অন্তর্ভুক্ত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একই সংবাদ সম্মেলনে আবার নজরুল ইসলাম খান সাহেব বলেছেনÑ এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।
লবিস্ট ফার্ম নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের রফতানি, ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, রফতানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাহেব ঠিকই বলেছেন যে, নয়া পল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সাথে বিএনপি চুক্তি করেছিল সেই লবিস্ট ফার্মকে প্রায় ১৭ কোটি টাকা তারা প্রদান করেছে। শাহরিয়ার আলম আরো একটি কথা বলেছেন যে, বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌঁনে চার মিলিয়ন এবং বিএনপি আরো ভিন্ন ভিন্ন নামে, ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দিয়েও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, এখন পর্যন্ত অনুসন্ধানে যেটুকু পাওয়া গিয়েছে, তারা পৌঁনে চার মিলিয়ন ডলার এই ক্ষেত্রে ব্যয় করেছে। এই টাকা তারা কোথা থেকে পেলো? এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে? এই টাকা বিদেশে প্রেরণ করার জন্য তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে কোনটাই তো নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন