রাজশাহী মহানগরীতে সন্তানের হাতে পিতা খুন হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম সাজ্জাদ আলী (৬৫)। তিনি নগরীর দামকুড়া থানার বিন্দারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় তার সন্তান মো. রাসেল আলী স্বপনকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি›র দামকুড়া থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় আরএমপি সদরদপ্তর কনফারেন্স রুমে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মো. মজিদ আলী বিপিএম সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে সাজ্জাদের বড় ভাই সাজদার রহমান হাদী দামকুড়া থানায় অভিযোগ করেন যে, তার ভাই সাজ্জাদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে দামকুড়া থানায় একটি নিখোঁজ জিডি এন্ট্রি হয়।
পরবর্তীতে দামকুড়া থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমানের নেতেৃত্বে এসআই মো. গোলাম মোস্তফা সাজ্জাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। অভিযান পরিচালনাকালে দামকুড়া থানা পুলিশের ঐ টিম নিখোঁজ সাজ্জাদের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে রাসেলসহ আশপাশের ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে নিখোঁজ সাজ্জাদের ছেলে রাসেল অসংলগ্ন ও এলোমেলো কথাবার্তা বলতে থাকে। তার এই সন্দেহজনক কথাবার্তার কারণে তাকে থানায় নিয়ে তার পিতার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাসেল জানায়, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টায় প্রথমে সে তার পিতা সাজ্জাদকে পলিথিন দ্বারা শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। তার পিতার ঘুম ভাঙ্গলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রাসেল খাটের নিচে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরবর্তীতে আসামী তার পিতার লাশ গুম করার জন্য ধারালো চাকু ও কাঠের লাঠিসহ লাশ নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ভিতরে রাখে। পরে দামকুড়া থানা পুলিশ আসামী রাসেলকে সাথে নিয়ে গত বুধবার দিবাগত রাত ৩ টায় অভিযান চালিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে টয়লেটের সাজ্জাদের লাশ উদ্ধার করে।
আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, মৃত সাজ্জাদের স্ত্রী মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করার চেষ্টা করায় পিতার সাথে প্রায় দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ লেগে থাকতো। অর্থ সম্পদ ও জমিজমা একভাবে ভোগদখলের উদ্দেশ্যে একপর্যায়ে রাসেল পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন