নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একইভাবে অতিরিক্ত ফি নিচ্ছে বিদ্যালয়টি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি এর নাম করে বাণিজ্য করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ছাত্রীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। পুনঃভর্তির ক্ষেত্রেও একই ক্লাসভিত্তিক পর্যায়ক্রমে ৫শ’ হতে ১ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ওই বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে নতুন ভর্তির জন্য এক ছাত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে এবং ৭ম শ্রেণিতে কৃতকার্য হয়ে ৮ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও তার কাছ থেকে পুনঃভর্তির নাম করে ১ হাজার ২৫০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিভাবকরা জানান, তাদের বাচ্চাদের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৫০ টাকা এবং পুনঃভর্তির নামে ৫শ’ হতে ১ হাজার ২৫০ টাকা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নাজিরপুরে অন্য কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এত টাকা নিতে দেখিনি। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন পিজিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিকাঠী বালিকা বিদ্যালয়, দীর্ঘা এম এল এ, ইউনিয়ন একাডেমী, গিলাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহে এ ধরনের পুনঃভর্তি ফি নেওয়া হয় না।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমারকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে ফোনে কোন কথা বলবেন না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক মো. লাহেল মাহামুদকে ফোনে ধরিয়ে দেন। তিনি বলেন, আসলে এ টাকা সেশন চার্জ হিসাবে নেওয়া হয়। এতো টাকা কেন নেওয়া হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহিদুল ইসলাম জানান, পুনঃভর্তির নাম করে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কোন স্কুল নেয় তাহলে সেটা অনৈতিক এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ারও কোন বিধান নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন