স্টাফ রিপোর্টার : পাঠ্যসূচিতে নীতি-নৈতিকতা ও ইসলামি আদর্শ সম্বলিত বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে ভিন্ন ধর্মীয় ধারা লেখা সংযোজন করে শিক্ষার্থীদের ইসলামি আদর্শ থেকে দূরে রাখার যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে- এর প্রতিবাদে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন। সামনে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে, এমতাবস্থায় এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।
তিনি বলেন, আমরা চলমান পাঠ্যসূচি নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে একান্ত বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচনা করে দ্রুত পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের এবং জাতীয় পাঠ্যপুস্তক রচনা ও সম্পাদনা পরিষদে অভিজ্ঞ আলেমদের অন্তর্ভুক্তের দাবি জানাই। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশস্ত করে বলেছিলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করা হবে। অভিযুক্তদের পাঠ্যপুস্তক রচনার দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং দু’জন অভিজ্ঞ আলেমকে পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং সম্পাদনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রতি তিনি আস্থাশীল। কিন্তু শিক্ষা বছর শেষ হওয়ার পথে এখনও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, অভিযুক্তদের অপসারণ এবং পাঠ্যপুস্তক রচনা এবং সম্পাদনা পরিষদে আলেমদের অন্তর্ভূক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা না হয়- তাহলে দেশের আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে আবারো প্রতিবাদ স্বারকলিপি দেওয়া হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাঁকে অবগত করানো হবে। তাছাড়া বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন