বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৯৬ নং বটতলা চন্দনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ননী গোপালকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিদ্যালয়ের সামনে থেকেই পুলিশ তাকে আটক করে।
যৌন হয়রারি শিকার এক ছাত্রীর পিতা বাদি মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীর ১২ বছর বয়সী মেয়ে ঐ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার দিন গত ৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টার দিকে প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল ঐ ছাত্রীকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নেয়। এরপর প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রীকে তার কোলে বসিয়ে নানাভাবে যৌন হয়রানী করে।
এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং জোড় করে বিদ্যালয়ে পাঠালে আত্মহত্যা করবে বলেও তার বাবা-মাকে জানায়।
ছাত্রীর বাবা-মা মেয়েকে বিদ্যালয়ে পাঠানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছাত্রীটি তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে যে, সে নিজেসহ একাধিক ছাত্রী বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। আসামি ননী গোপাল হালদার ইত:পূর্বে একই এলাকার জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকা কালেও একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মামলায় বলা হয়।
এ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন মহলে চলতে থাকে দেন দরবার। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় গত রোববার এক শালিস বৈঠকে ছাত্রী ও ৫ম শ্রেণীর এক অভিভাবক অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে ওই প্রভাবশালী মহল। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
একই বিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি শিকার ৪র্থ শ্রেণীর অপর এক ছাত্রীর পিতা গত বুধবার মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে আটক করে। থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ননী গোপাল এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন