সুন্দরবন বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত। যেটির সৌন্দর্য আর বিশালতা উপভোগ করতে প্রতিদিন শত-শত দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় জমায়। সুন্দরবনের অনেকগুলো স্পট, যেগুলোর অধিকাংশ উপভোগের একমাত্র রুট মংলা সমুদ্র বন্দর। অনেক সময় স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন সেখানে যায়। কিন্তু মংলা সমুদ্র বন্দরের শক্তিশালী এক সিন্ডিকেটের ফাঁদে পড়তে হয় অধিকাংশ পর্যটকদের। ট্রলার সেখানে সমুদ্রপথ পরিভ্রমণের একমাত্র যানবাহন হওয়ায় পর্যটকদের সেটির মাধ্যমেই বিভিন্ন স্পটে পরিভ্রমণ করতে হয়। সেক্ষেত্রে, ৪ জন বা ৫ জনের পর্যটক গ্রুপকে একটা ট্রলার ভাড়া করতে বাধ্য করা হয়, যার ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। অন্যান্য পর্যটক গ্রুপের সাথে যৌথভাবে ট্রলার ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিলে সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়তে হয়। হয় প্রতি গ্রুপ পর্যটকদের আলাদাভাবে ট্রলার ভাড়া করতে হবে, নয়তো সিন্ডিকেটের ইশারায় কোনো ট্রলার চালক তাদের নেবে না। এর ফলে পর্যটকদের একদিকে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়, অন্যদিকে তাদের অনেকেই ভ্রমণে নিরুৎসাহ হয়। ট্যুরিস্ট পুলিশের চোখের সামনে পর্যটকদের ভোগান্তির এমন ঘটনা ঘটলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করে। দেশের পর্যটন এলাকাগুলোতে এমন ভোগান্তির নিরসন দরকার। ট্যুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই এমন ভোগান্তি নিরসন সম্ভব।
মো. মারুফ হোসেন
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন