একাত্তরের শহীদ পরিবার ও গণহত্যা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় রবিবার ( ২৩ জানুয়ারী) ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবপশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদুল হক সাজ্জাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বীরঙ্গনা মনোয়ারা বেগম, বীরঙ্গনা মায়া রানী সাহা, শহীদ পরিবারের সন্তান বিল্লাল শিকদার, বাদল মুন্সি, পরিতোষ সাহা গজেন, অমর সাহা তপু , বীর মুক্তিযুদ্ধা পিকে সরকার , বীরঙ্গনা ফুলবানুর ছেলে মিরান প্রমূখ।
সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের বঞ্চনার কথা কথা তুলে ধরেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
বক্তার আক্ষেপ করে বলেন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও তাদেরকে নানাভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এদেশে রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে তাদের মাসে মাসে ভাতা দেয়া হচ্ছে। অথচ আমরা যারা শহীদ পরিবারের সন্তান তাদের প্রতি কোন নজর দেয়া হয়নি। আমরা দিনের পর দিন বঞ্চিত থেকেছি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইনি।
বক্তারা গণহত্যায় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান সকল শহীদের নাম গেজেটভুক্ত করার দাবি জানান, যে সমস্ত এলাকায় যে তারিখে গণহত্যা হয়েছে সেসব স্থানে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি পালন করার আহ্বান, পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করত ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ বীরঙ্গনা পরিবারগুলোকে সহায়তা ও সহযোগিতা করা , প্রতিটি পরিবারকে বিনাশর্তে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা, শহীদ ও নির্যাতিতা মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ের সভা-সমাবেশের শুরুতে এক নীরবতা পালন ইত্যাদি সহ ১৪ দফা দাবি প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সম্মান দেওয়ার কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বেশিরভাগ বক্তা দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমে থাকা কথাগুলো তুলে ধরতে যেয়ে বারবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কামরুজ্জামান সুমন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন