আগামী ৩১জানুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ৫ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করতে
যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচন অফিস। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক কর্মতৎপরতার সৃষ্টি হলেও ইভিএম’কে সাধারণ ভোটারদের মাঝে পরিচিত করার কোনো প্রয়াস এখন
পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দিতে অভ্যস্থ উপজেলার সাধারণ ভোটারদের মাঝে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান নিয়ে উদ্বিগ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মেশিনের মাধ্যমে ভোট দিলে সেটি পছন্দের প্রার্থী পাবে কিনা তা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে মক ভোটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সব উম্মুক্ত হবে বলে নির্বাচন অফিসের দাবী। জানাগেছে,ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় আগামী ৩১জানুয়ারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রথমবারেরমতো ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন অফিসে ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখা গেলেও ইভিএম’কে সাধারণ ভোটারদের মাঝে পরিচিত করার কোনো প্রয়াস না থাকায় ভোটারদের মাঝে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান
নিয়ে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ভোটের আগে মক ভোটিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস।
সাধারণ ভোটারদের অভিমত,ইভিএম মেশিনে কেমন করে ভোট দিতে হয় তারা তা জানেন না। ফলে ইভিএম এর সুফল-কুফল নিয়ে সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। সবুজপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন,ইভিএম নামের ওই মেশিনটা তো চিনি না,ভোট দিলে কি হবে কে জানে? কাচঁকোল বাজার এলাকার রঘু নাথ চন্দ্র, ফিরোজ মিয়া,ফকিরেরহাট এলাকার সাহাবুল,হাবিবুর রহমান,জোড়গাছ এলাকার রুবেল মিয়া,সাদ্দাম বাবুসহ অনেকে জানায়,এই প্রথম ভোট দেওয়া ইভিএম মেশিনের নাম শুনছি।তাদের প্রশ্ন-এক
মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় যাবে না তো? ভোট গননায় কোন কারচুপি হবে নাতো? ইভিএম মেশিনের প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান,ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া খুবই সহজ এবং এটি একদম স্বচ্ছ ভোটিং পদ্ধতি। এখানে কারচুপি করার কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো.ইকবাল হোসেন জানান,আগামী ২০-২৪ জানুয়ারী ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের ইভিএম প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ২৪তারিখের পর সাধারণ ভোটারদের ইভিএমে ভোট দেওয়ার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন