স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে রাজধানীর সায়েদাবাদ গোলাপবাগে মাঠে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মাঠে থাকা মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণকারী সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিমপ্লেক্স গ্রæপের ৬০/৭০টি স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা খালিদ আহম্মেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু সাঈদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সায়েদাবাদের গোলাপবাগ মাঠে যায়। এ সময় এলাকাবাসী খেলার মাঠটি খালি করার দাবিতে মিছিল করতে থাকে। সেখানে ৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু, ৪৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল সরদার, ৫০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। এ সময় ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু বলেছেন, এই এলাকার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং কিশোরদের একমাত্র খেলার মাঠ ছিল এটি। আজকে এই মাঠ দখলমুক্ত হওয়ায় এলাকাবাসির মতো আমরাও আনন্দিত।
এ সময় সিমপ্লেক্স গ্রæপের কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে কয়েকদিন সময় প্রার্থনা করেন। কিন্তু ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান মেয়র তাদেরকে গত মে মাসে একবার একমাসের সময় দিয়েছিলেন।
তারা গত ছয় মাসেও তাদের মালামাল সরিয়ে মাঠ খালি করেনি। এ কারণে মেয়রের নির্দেশে তারা মাঠ খালি করার জন্য এসেছেন। বেলা ১২টার দিকে ডিএসসিসির তিনটি বুলডোজার একযোগে মাঠে থাকা সিমপ্লেক্স গ্রæপের স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করে। বেলা তিনটা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে সিমপ্লেক্স গ্রæপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসনের জন্য নির্মিত অর্ধশতাধিক ঘর ও নির্মাণ কাজের জন্য নির্মিত আরো কিছু ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
অভিযানের সময় যাত্রাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে। এ সময় সিমপ্লেক্স গ্রæপের কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে উপস্থিত থাকলেও তারা কোন প্রকার বাধা প্রদান করেননি। তবে অভিযান শুরু হলে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা মিষ্টি বিতরণ, গায়ে রঙ মাখা ও এলাকায় আনন্দ মিছিল বের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন