শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গরিবদের দীঘি সাব-লিজ দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৭ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিয়ম-নীতি উপক্ষো করে মৎস্য চাষ (রাজস্ব) প্রকল্পের আওতায় সুফল ভোগীদের পুকুর সাব- লিজ দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মথুরা দিঘি সুফলভোগী সমবায় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে । ওই অভিযোগ করেছেন সমিতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সামাদ খন্দকারসহ একাধিক সদস্য। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে।

এ দিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ জানিয়েছেন, সুফল ভোগীদের কোন পুকুরই বাইরে অন্য কারো কাছে সাব লিজ দেয়ার বিধান নেই।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মৎস্য চাষ (রাজস্ব) প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের ৮ একর আয়তনের মথুরা দীঘি অবস্থিত। দীঘিটি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে বিধি মোতাবেক ওই দীঘির পাড়ে বসবাসকারী ৬২ জন সুফল ভোগীকে বৎসরভিত্তিক লিজ নবায়নের মাধ্যামে সুফলভোগী সদস্যরাই মাছ চাষ করবেন শর্তসাপেক্ষে লিজ দেয়া হয়। কোন সুফলভোগী পুকুর কিংবা দীঘি অন্যত্র সাব লিজ দেয়ার কোন বিধান নেই।
জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে মথুরা দীঘি সুফলভোগী সমবায় সমিতি বছরভিত্তিক ডিসিআর কেটে ওই ৮ একর আয়তনের মথুরাদীঘিটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৬২ জন সুফলভোগী সদস্য দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ৩ মাস পূর্বে ওই সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জুমা ও সাধারণ সম্পাদক গৌড় সরকার সদস্যদের না জানিয়ে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই সাব লিজ দেন। আর তারা একই গ্রামের মৎস্য চাষী মো. সিদ্দিকুর রহমানে নিকট ৬ লাখ টাকায় এক বছরের জন্য সাব-লিজ প্রদান করেন। লিজকৃত টাকার অংশ সদস্যদের না দিয়ে পুরো টাকাই তারা আত্মসাত করেন। এ বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দীঘি পাড়ের সদস্যদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে সুফলভোগী সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুস সামাদ খন্দকার, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুর রউফ, আল-বরাত, বদ্যনাথ হলদারসহ একাধিক সদস্য বলেন, মথুরাদীঘি সাব-লিজের বিষয়ে কিছুই আমরা জানি না এবং কোন টাকাও এখন পর্যন্ত পাইনি।
টাকা আত্মসাত ও তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম জুমা ও সাধারণ সম্পাদক গৌড় সরকার বলেন, সদস্যরা গবীর হওয়ার কারণে দীঘিতে মাছ চাষের ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই সবার সম্মতিতে মথুরাদীঘিটি ৪ লাখ টাকায় লিজ দেয়া হয়েছে। আর টাকাগুলো সদস্যদের মাঝে সম-বন্টনও করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ বলেন, সুফলভোগীদের বাইরে অন্যত্র দীঘি বা পুকুর সাব- লিজ দেয়া যাবে না। দিলে বিধি মোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন