রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়লি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রুহি(১৯) নামে এক তরুণীর আত্মহত্যা করেছে।
গত রোববার দুপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের মার্চে রুহি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে আসেন। এসময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
এরপর গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) রুহি আবারও আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এক পর্যায়ে আকাশের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে। গত শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোতয়ালী থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় গতকাল রোববার দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
কোতয়ালী থানা পুলিশ জানিয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং তার স্বজনদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন