পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে অসময়ে মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহে গতকাল মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কক্সবাজারে ৪ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, কুতুবদিয়া, বগুড়া, পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে ৩ মি.মি. থেকে এক মি.মি. ও ছিটেফোঁটা সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ বুধবার দেশের নদী অববাহিকা এলাকাসহ অনেক স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার আভাস দেয়া হয়েছে। অকালে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে গুঁড়িবৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন স্থানে।
বেশ কিছুদিন যাবৎ মেঘলা আবহাওয়ায় মাঘে মৌসুমের এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বে রয়েছে। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৬.৫ এবং সর্বনিম্ন ১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চট্টগ্রামে যথাক্রমে ২৭ ও ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সন্দ্বীপে ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদ-নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন