নির্বাচন কমিশনাররা কোনো অপরাধ করলে কী হবে জানতে চেয়েছেন বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন আইন থাকবে, যার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের বিধান থাকবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা কোনো অপরাধ করলে কী হবে, তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা নেই এ আইনে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন গঠন বিল পাসের জন্য সংসদে প্রস্তাব আনেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেই বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। হারুন অর রশীদ বলেন, ২০১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। আগামী নির্বাচন আরও কোনো কৌশলে হবে কিনা তা জানতে চায় মানুষ।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনের যে বেহাল দশা, অনিয়ম হচ্ছে এ জন্য আগামী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়া দরকার।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের বিষয়ে সংসদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেসব দেশে মন্ত্রীদের ভুলের কারণে দেশের কোনো ক্ষতি হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না।
উদাহরণ হিসেবে তিনি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, আজ সকালে পত্রিকায় প্রতিবেদনে দেখলাম চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তাহলে শিক্ষামন্ত্রী কি পদত্যাগ করবেন?
এমপি হারুন বলেন, এই দুর্নীতির ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। সেখানে ১০০ কোটি টাকার জমিকে ৬০০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলো আমার কথা নয়। এগুলো আজকের জাতীয় পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এমপি হারুন বলেন, আমার সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক। আমি বলছি, কারণ আমাকে নিউজিল্যান্ডের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ইসি গঠনের সার্চ কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই ‘বিশিষ্ট নাগরিকের’ মধ্যে একজন নারীকে রাখার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন