সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিঃ শরীর ভালো রাখতে হলে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলা প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। রক্তে কোলষ্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে সুগার থাকলে তা কমিয়ে রাখতে হবে। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে আপনার ডায়াবেটিস দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস দেখা দিলে শরীরের পাশাপাশি মুখ এবং দাঁতের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। পরিমিত বিশ্রামসহ কোনো প্রকার মানসিক চাপ ছাড়া কর্মব্যস্ত জীবন যাপন করতে হবে । আপনার যদি ওজন বৃদ্ধি পায় তবে ওজন কমিয়ে আনতে হবে। যথার্থ খাবার খেতে হবে। ধুমপান পরিত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত লবন খেলে ষ্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সুতরাং অতিরিক্ত লবন এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমঃ নতুন গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি রাতে ৬ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন আপনার হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য। ক্রমাগত ঘুমের অভাব এবং ঠিকভাবে ঘুম না হলে ধমনিতে ফ্যাটি প্ল্যাক জমা হতে পারে যা এথেরোস্কেলেরোসিস নামে পরিচিত যা হার্ট এট্যাক এবং ষ্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আবার অতিরিক্ত ঘুমও হার্টের জন্য ভালো নয়। মহিলাদের মাঝে যারা রাতে ৮ ঘন্টার বেশি ঘুমায় তাদের এথেরোস্কেলেরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মানসিক চাপমুক্ত জীবনঃ যারা ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকেন তাদের শরীরে কর্টিসল হরমোন বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়ে থাকে, যা মাঢ়ি ও শরীরের জন্য ক্ষতি করে থাকে। ক্রনিক স্ট্রেস ও মানসিক চাপ সব সময়ই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মানসিক চাপ কমাতে আপনি শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত ব্যায়াম করতে পারেন যা দ্রুত আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দিবে, এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এছাড়া মেডিটেশন এবং নামাজ আপনার মানসিক চাপ অবশ্যই কমিয়ে দিবে। ভালো ভালো গান শুনলেও আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে। একা একা থাকবেন না। আপনার সমস্যার কথা আপন কাউকে বা কোনো বন্ধুকে খুলে বলুন যাকে বিশ্বাস করা যায়। কাউকে বিশ্বাস করা না গেলে প্রার্থনার সময় স্বয়ং আল্লাহকে বলুন। আপনার মানসিক চাপ কমে যেতে বাধ্য। তবে একটি কথা সব সময় মনে রাখবেন আপনার মানসিক চাপ অথবা সমস্যার কথা এমন কাউকে বলবেন না, যাতে মানসিক চাপ আরও বেড়ে যায়। কারণ সমাজে ভালো মানুষের পাশাপাশি খারাপ মানুষ রয়েছে। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমে গেলে আপনার মুখের রোগ বা শরীরের যে কোনো রোগই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে।
আপনার প্রিয়জনদের সাথে অথবা প্রাকৃতিক পরিবেশে আনন্দঘন সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এতে ব্রেনে সেরোটিনিন এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এন্ডোরফিন এর পরিমান বৃদ্ধি পায়। এন্ডোরফিনকে এন্ডোজেনাস মরফিন বলা হয়। এই এন্ডোরফিন কোনো প্রকার ব্যথানাশক ঔষধ ছাড়া ব্যথা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে পারে, মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মানসিক চাপজনিত মনের ব্যথা বেদনা কমিয়ে দেয়।
ঘাতক ব্যাধিতে করণীয়ঃ ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, কিডনি রোগ অথবা অন্যান্য জটিল রোগে ঔষধের পাশাপাশি খাদ্যাভাস পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে দাঁত ও মুখের আলাদা যত্ন নিতে হবে। ডায়াবেটিস এর পাশাপাশি কারো হার্টের রোগ থাকলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন দাঁত অথবা মাঢ়ি থেকে কোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া হার্টে সংক্রমন ঘটাতে না পারে। অন্যথায় এন্ডোকার্ডাইটিস সহ যে কোনো ধরনের মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
ইমপ্রেস ওরাল কেয়ার
বর্ণমালা সড়ক, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা।
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন