প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন তাদের পোষা প্রাণীদের তালিকায় একটি বিড়াল যোগ করেছেন। এই বিড়ালের কথাটি তারা অনেক আগে থেকেই বলতেন। বিড়ালটির নাম উইলো। ২ বছর বয়সী, সবুজ চোখ এবং ধূসর-সাদা লোমের বিড়ালটি পেনসিলভেনিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র মাইকেল লারোসা বলেন, উইলো হোয়াইট হাউজে ঠিকঠাকমতই মানিয়ে নিচ্ছে। ওখানে ওর জন্য পছন্দসই খেলনা, খাবার, ও দৌড়াদৌড়ির প্রচুর জায়গা রয়েছে।
২০২০ সালের নভেম্বরে জো বাইডেন নির্বাচনে জয়লাভের পর জিল বাইডেন জানিয়েছিলেন, তারা হোয়াইট হাউজে একটা বিড়ালছানা নিয়ে আসবেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনাটি পিছিয়ে যায়। গত মাসে হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছিল যে জানুয়ারিতে বিড়ালটি নিয়ে আসা হবে। ফার্স্ট লেডি তার নিজের শহর, পেনসিলভেনিয়ার উইলো গ্রোভ এর নামে বিড়ালটির নাম উইলো রাখেন।
২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারণার সময়, পেনসিলভেনিয়ায় জিল বাইডেন একটি ভাষণ দেয়ার সময়ে বিড়ালটি মঞ্চে উঠে পড়লে তিনি তার বক্তব্য থামিয়ে দেন। সেই ঘটনায় এই ছোট ছোট লোমের বিড়ালছানাটি, জিল বাইডেনের মনে একটা ছাপ রেখে গিয়েছিল।
উইলো আসার ফলে কমান্ডারের একটি সঙ্গী জুটল। প্রেসিডেন্টের ভাই জেমস বাইডেন ও তার স্ত্রী সারা, জো বাইডেনকে ডিসেম্বরে জন্মদিনের উপহার হিসেবে এই জার্মান শেফার্ড কুকুরছানাটি উপহার দেন, যার নাম রাখা হয় কমান্ডার। কমান্ডারের আগেও বাইডেন পরিবারের হোয়াইট হাউজে আরও দুইটি জার্মান শেফার্ড ছিল। একটির নাম চ্যাম্প ও অন্যটি মেজর।
কিন্তু ৩ বছর বয়সী উদ্ধারকারী কুকুর মেজর, ২০২১ এর জানুয়ারিতে সেখানে আসার পর থেকেই আক্রমণাত্মক আচরণ করতে থাকে। এমনকি দুইবার কামড় দেয়ার ঘটনাও ঘটিয়ে ফেলে। হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয় যে মেজর তখনও নতুন জায়গায় খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছিল এবং এরপর তাকে ডেলাওয়্যার’এ বাইডেনদের পারিবারিক বাসস্থানে প্রশিক্ষণের জন্য তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত বছর জুনে, ১৩ বছর বয়সে চ্যাম্প মারা যায়। সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন