শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সাটুরিয়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে এসিড নিক্ষেপ

সাটু‌রিয়া (মা‌নিকগঞ্জ) স্টাফ রিপোটার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৫০ পিএম

মা ও বোনকে সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো গামের্ন্টস কর্মী সাথী আক্তার(১৯)। ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে মাঝরাতে দূর্বৃত্তের ছুড়ে দেওয়া এসিডে ঝলছে গেছে ঘুমন্ত তার হাত ও মুখমন্ডল।
শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২ টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাথীকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের স্বজনেরা।
সাথী আক্তার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
সাথী আক্তারের মা জুলেখা বেগম বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় সাথীর। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিয়ে অত্যাচার শুরু করে নাঈম। মেয়ের জামাই একজন বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় সংসার বিচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাস্তা ঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে নাঈম। তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় নাঈম। এর জেরধরেই শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে তার মেয়ের মুখে এসিড মেরে হাত মুখ ঝলছে দেয় নাঈম। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সাথীর বড় ভাই সোহেল হোসেন বলেন, তার বোন ধামরাই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। অফিসে যাওয়া আসার সময় রাস্তা ঘাটের বিভিন্ন জায়গায় তাকে বিরক্ত করে নাঈম। পুনরায় তাকে বিয়ে করে সংসার করার জন্য চাপ দিতে থাকে। তার এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার মধ্যরাতে নাঈম এসিড দিয়ে সাথীর হাত ও মুখ ঝলছে দেয় ।
সাথীর বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আাবাসিক চিকিৎসক কাজী একেএম রাসেল বলেন, দাহ্য পদার্থে সাথীর হাত মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হবে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। উক্ত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন