চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় দেশী অস্ত্রের পাশাপাশি প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে দুই পক্ষের কর্মীরা। সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা ছিল নীরব দর্শক। স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল (মঙ্গলবাল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ও অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে জড়িতরা দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল এবং ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সিআরবিতে জোড়া খুন মামলার আসামী সাইফুল আলম লিমনের অনুসারী বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। কাউন্সিলর সোহেল ও লিমন স্থানীয় রাজনীতিতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
নগর পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হাসান ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, কাউন্সিলর সোহেলের ছেলেরা মিছিল বের করেছিল। তারা আরেক গ্রæপের একজনকে কিছুদিন আগে মারধর করেছিল। ওই গ্রæপের ছেলেরা মিছিল দেখে তাদের ধাওয়া দেয়। এরপর মারামারি শুরু হয়। খবর পেয়ে ডবলমুরিং থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারির সময় অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানিয়েছে।
চট্টগ্রামে যুবকের লাশ উদ্ধার
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন এলাকা থেকে মো. রিপন (১৯) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টায় প্লাজমা হাসপাতালের পেছনে একটি ছয়তলা ভবনের পাশে কাদার ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার রাস্তার মাথায়। নগরীর বায়েজিদ থানার পূর্ব শহীদনগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকত সে।
থানার ওসি মহসিন জানান, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রিপনের মা আয়েশা আক্তার এসে লাশ শনাক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন