স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ দুই যুগ পর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতির মামলার সাজার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানির ১৫ নভেম্বর। গতকাল (মঙ্গলবার) দুদকের করা আবেদনের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষের আবেদনে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। এরপর শুনানি মুলতবির আর কোনো আবেদন করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।
এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। এবার ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
দীর্ঘদিন পর এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্য করতে গত ২২ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলো দুদক। এরপর আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় এলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর এক উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ ক্যান্টনমেন্ট থানায় ওই মামলা করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। একই সঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ওই বছরই তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। ২০১২ সালে দুদক এতে পক্ষভুক্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন